কালীপ্রতিমা জলে পড়তে না পড়তেই হেমন্তের বাতাসে লেগেছে শীতের ছোঁয়াচ। গা শিরশিরানি ঠাণ্ডা হাওয়ার আঁচ আর আবহাওয়া বদলে যারপরনাই অসুস্থ হওয়ার ঝোঁকটা বাড়ে। বাজারে এই সময়টায় নতুন শাকসবজির পসরাও কম নয়। তাই রান্না করেও সুখ। এই মরসুমে প্রায়ই ইচ্ছে করে ঘন স্যুপ খেতে। কিংবা রুটি বা ভাতের সঙ্গে নতুন সবজির তরকারি। তাই আজ শীতের শুরুতে আপনাদের জন্য রইল মরসুমি সবজির নিরামিষ ডালের রেসিপি। চাইলে ঘন ঘন এই ডাল খেতে পারেন স্যুপের মতো। আর না হলে ভাত বা রুটি সহযোগে জমবে বেশ।
উপকরণ:
মটর ডাল— ২০০ গ্রাম
গাজর— ১টি
ফুলকপি— ১টি
বিন্স— এক মুঠো
কুমড়ো— অর্ধেক
মুলো—১টি
সিম— কয়েকটি
কড়াইশুঁটি— এক মুঠো
টোম্যাটো— ২টি
ধনে পাতা— আধ আঁটি
কাঁচা লঙ্কা— ৩-৪টি
গোটা জিরে— ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা— ২টি
তেজ পাতা— ২টি
গন্ধরাজ লেবু— ১টি
হিং— এক চিমটে
নুন— স্বাদ মতো
চিনি— এক চিমটে
হলুদ— এক চিমটে
লঙ্কা গুঁড়ো— আধ চা চামচ
তেল— ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
গাজর, ফুলকপি, বিন্স, কুমড়ো, মুলো, সিম— সমস্ত সবজি যতটা সম্ভব একই মাপের টুকরো করে নিন। নুন-গরম জলে সমস্ত সবজি হাল্কা ভাপিয়ে নিন। মটর ডাল জলে ধুয়ে সামান্য নুন ও হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে হিং, তেজ পাতা, শুকনো লঙ্কা আর গোটা জিরে ফোড়ন দিন। ফোড়ন ভাজা হয়ে এলে টোম্যাটো কুচি, গোটা কাঁচা লঙ্কা ও কড়াইশুঁটি দিয়ে নাড়ুন। তার পর একে একে ভাপিয়ে রাখা সবজি তেলে দিয়ে দিন। সবজি খানিক ভাজা ভাজা হয়ে এলে সেদ্ধ ডাল, নুন, লঙ্কা গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এ বার পরিমাণ মতো জল ঢেলে ডাল ফুটতে দিন। ডাল আর সবজি মিলেমিশে গিয়ে সামান্য জল শুকিয়ে এলে উপর থেকে পাতিলেবুর রস আর ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। ভাত বা হাতে গড়া রুটির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন মরসুমি সবজির ডাল।
(রুটির জন্য এই ডাল বানাতে গেলে অনেকে চিনির পরিমাণ সামান্য বেশি দিয়ে থাকেন।)