দেখতে দেখতে ১৪২২ বঙ্গাব্দকে বিদায় দিয়ে সূচনা হচ্ছে নতুন বছরের। আর বর্ষবরণের দিন গণেশ পুজো, নতুন হালখাতার সঙ্গে থাকে এলাহি খাবারেরও আয়োজন। তাই পাঠকদের জন্য এ বার পঞ্চ বা সপ্ত ব্যঞ্জন নয়, বারো মাসে তেরো পার্বণকে মাথায় রেখেই শুরু হচ্ছে ‘বারো মাসে তেরো ব্যঞ্জন’। আগামী কয়েকটি দিন আপনাদের জন্য থাকবে তেরো রকম সাবেকি বাঙালি পদের সম্ভার। তবে কিছু ক্ষেত্রে সেই পুরনো পদেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আজকের খাবারের শুরুর পাতে তাই থাকছে সুক্তো। বাঙালির আদি এবং অকৃত্রিম সাবেক পদ।
উপকরণ:
আলু— ৩টি
রাঙা আলু— ২টি
পেঁপে— ১টি
মুলো— ১টি
সজনে ডাঁটা— ১৫০ গ্রাম
কাঁচ কলা— ১টি
সিম— ১০০ গ্রাম
বেগুন— ১টি
উচ্ছে— ১টি
বিউলির ডালের বড়ি— ১২-১৪টি
আদা বাটা— ২ চা চামচ
রাঁধুনি বাটা— ১ চা চামচ
তেজ পাতা— ২টি
ঘি— ১ টেবিল চামচ
পাঁচ ফোড়ন— ১ চা চামচ
নুন— স্বাদ মতো
জল— ৩ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে আলু, রাঙা আলু, পেঁপে, মুলো, কাঁচ কলা, সিম, উচ্ছে আর বেগুন ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। সজনে ডাঁটা ভাল করে ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে সমস্ত সবজির টুকরোগুলো ভেজে তুলে রাখুন। তেলে মটর ডালের
বড়িগুলোও লালচে সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার নতুন করে সরষের তেল গরম করে পাঁচ ফোড়ন আর তেজ পাতা দিন। এর পর আদা বাটা দিয়ে ভাজা সবজিগুলো ছেড়ে দিন। রাঁধুনি বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এ বার ভাজা বড়ি গুলো দিয়ে দিন। সামান্য জল দিয়ে ফুটতে দিন। সবজিগুলো মশলাতে মাখা মাখা হয়ে এলে স্বাদ মতো নুন দিন। সুক্তো ফুটে এলে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
(বাড়িতে বিউলির ডালে বড়ি না থাকলে মাকে অনেক সময়ে সুক্তোয় ফুলুরিও ব্যবহার করতে দেখেছি। ফুলুরিগুলোকে কেটে চার টুকরো করে সুক্তোয় দিয়ে দিন।)