ওয়াক্সিং, থ্রেডিং অথবা লেজার ট্রিটমেন্ট। শরীরের অবাঞ্ছিত রোম দূর করতে এই পদ্ধতিগুলো খুবই প্রচলিত। কেউ সময় বাঁচাতে বাড়িতেই কোনও পদ্ধতি বেছে নেন, কেউ দীর্ঘস্থায়ী ফল পেতে একটু খরচ করার পক্ষপাতি। জেনে নিন কোন পদ্ধতিতে কী ফল পাবেন।
শেভিং: বাড়িতে সবচেয়ে সহজে হেয়ার রিমুভ্যালের প্রক্রিয়া শেভিং। এতে ত্বকের উপরিভাগ ইলেকট্রিক বা ডিজপোজেবল রেজরের সাহায্যে রোম ছেঁটে ফেলা হয়। রোমকূপ থেকে যেহেতু উত্পাটিত হয় না, তাই ১-৩ দিনের মধ্যেই আবার গজিয়ে যায়।
হেয়ার রিমুভ্যাল ক্রিম: ডেপিলেটর বা হেয়ার রিমুভ্যাল ক্রিম ব্যবহার করলে তা শেভিংয়ের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী হয়। বাড়িতেই সহজে হেয়ার রিমুভ্যালের জন্য ভাল এই পদ্ধতি। তবে অনেক সময় এই সব ক্রিমে থাকা রায়ায়নিকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
ওয়াক্সিং: পেশাদার ভাবে সারা শরীরের হেয়ার রিমুভ্যালের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি ওয়াক্সিং। সাময়িক যন্ত্রণা হলেও ওয়াক্সিংয়ের পর ত্বকে মসৃণ ভাব আসে। রোমকূপ খোঁচা খোঁচা খসখসে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
টুইজিং: অবাধ্য আইব্রাও লাইন থেকে রেহাই পেতে অনেকেই বাড়িতে টুইজারের সাহায্য নেন। এই প্রক্রিয়ায় একবারে একটিই রোম তোলা যায়, বেশ কষ্টকরও।
থ্রেডিং: আইব্রাও শেপ করার জন্য, আপারলিপ ও ফেশিয়াল হেয়ার রিমুভ্যালের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রক্রিয়া থ্রেডিং। টুইজিংয়ের তুলনায় এতে ত্বকে চাপ কম পড়ে। কিছুটা যন্ত্রণাদায়ক হলেও টুইজিংয়ে যেখানে একবারে একটাই হেয়ার রিমুভ করা সম্ভব, থ্রেডিংয়ে পুরো লাইন এক সঙ্গে তুলে ফেলা যায়।
ইলেকট্রোলিসিস: এ ক্ষেত্রে নিডলের সাহায্যে হেয়ার ফলিকলের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রিক কারেন্ট পাস করানো হয়। কয়েকটি সেশনের পর হেয়ার রিমুভাল চিরস্থায়ী হয়। লেজার ট্রিটমেন্টের তুলনায় কম খরচ সাপেক্ষ হলেও এই পদ্ধতিতে একটা করে হেয়ার রিমুভ করা হয়। তাই সময় লাগে। সূঁচ ফোটানোর যন্ত্রণাও হয়।
লেজার হেয়ার রিমুভাল: আলোর সাহায্যে এ ক্ষেত্রে রোমকুপের গোড়া নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিকে চিরস্থায়ী বলে দাবি করেন ডাক্তাররা। আধুনিক লেজার পদ্ধতি যন্ত্রণাহীন। তবে বেশ কয়েক মাস ধরে এই থেরাপি চলে এবং বেশ খরচ সাপেক্ষ।