সকালে ঘুম থেকে উঠে দুর্বল লাগা, রাতে ঘুমের সমস্যা, গা গোলানো প্রেগন্যান্সিতে এগুলো খুবই সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যাগুলো যতই ভোগান্তি দিক না কেন চিকিত্সকরা কিন্তু জানাচ্ছেন, এই মর্নিং সিকনেস আসলে হেলদি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ।
টরন্টোর দ্য হসপিটাল ফর সিক চিলন্ড্রেন-এর চিকিত্সক জিডেওম কোরেন জানাচ্ছেন, ৮৫ শতাংশ মহিলাই প্রেগন্যান্সির সময় মর্নিং সিকনেসের সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা তেমন গুরুতর না হলেও অনেকের ক্ষেত্রে আবার এই সমস্যা বেশ কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। এই সময় ডায়েট, সুস্থতার দিকে যতই নজর দিন না কেন মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থেকেই যায়। কারণ এই সময় নিজস্ব প্রক্রিয়ায় প্লাসেন্টার মাধ্যমে গোনাডোট্রপিন হরমোন ক্ষরণের সাহায্যে শরীর নিজেকে টক্সিনমুক্ত করে। যা না হলে ইনফেকশন ও অন্যান্য জটিলতা দেখা দিত।
এনভিপি (নসিয়া অ্যান্ড ভমিটিং অব প্রেগন্যান্সি) শীর্ষক গবেষণাপত্রে কোরেন জানিয়েছেন, অবাঞ্ছিত গর্ভপাত, জন্মগত শারীরিক ত্রুটি, প্রিম্যাচিও বার্থ, জন্মের সময় ওজন কম থাকা ও পরবর্তীকালে হওয়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সঙ্গে এনভিপি-র যোগ রয়েছে। এই গবেষণাতেই কোরেন দেখিয়েছেন, যে মায়েরা গর্ভাবস্থায় নিয়মিত এনভিপি-র সমস্যায় ভুগেছেন তারা সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ভাল স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জন্মগত শারীরিক ত্রুটির ঝুঁকিও এ ক্ষেত্রে ৩০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। প্রি-টার্ম ডেলিভারির সম্ভাবনাও থাকে না। আবার এই শিশুরাই বড় হওয়ার পর তাদের আইকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে কোরেন দেখিয়েছেন বুদ্ধি ও মানসিক বিকাশের দিক থেকেও তারা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: এই গরমে প্রেগন্যান্ট হলে এ ভাবে পোশাক পরে স্বস্তিতে থাকুন
অনেক মহিলাই মর্নিং সিকনেস কমাতে ওষুধের সাহায্য নেন। কোরনে বলেন, ‘‘এই সময় ওষুধ খেলেও তা হরমোনের মাত্রার উপর কোনও প্রভাব ফেলে না। আর তাই ওষুধ খেলেও মর্নিং সিকনেসের পজিটিভ প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যের উপর পড়বেই।’’