সালটা ১৯৯৪। সুস্মিতা সেন মিস ইউনিভার্সের খেতাব জেতার পর একটা কথা ভারতীয়দের মুখে মুখে ঘুরতো। বিউটি উইথ ব্রেইন। দেশের বিউটি প্যাজেন্টগুলোয় বুদ্ধিমত্তাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। যার ফল লারা দত্ত, ডায়না হেডেন, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ারা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সাফল্য কমে এলেও ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ায় বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব কিন্তু কমেনি। যার প্রমাণ, মিস ইন্ডিয়া ২০১৬-সেকেন্ড রানার-আপ পাঙ্খু়রি গিদওয়ানি। সোমবার প্রকাশিত হয়েছে আইএসসি পরীক্ষার ফলাফল। পাঙ্খুরির মার্কশিট বলছে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.২৫ শতাংশ।
লখনউ-র লা মার্টিনিয়র গার্লস কলেজের কলা বিভাগের ছাত্রী পাঙ্খুরি। মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেকেন্ড রানার-আপ হন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী মিস ইন্ডিয়ার সেকেন্ড রানার আপকে মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সে বছরের মতো আইএসসি দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় ১৮ বছরের পাঙ্খুরিকে। তবে মনে মনে ঠিক করেই রেখেছিলেন। প্রতিযোগিতা হয়ে গেলেই মডেলিং থেকে ব্রেক নিয়ে মন দেবেন পড়াশোনায়।
সোমবার ফল প্রকাশের পর বলেন, ‘‘মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে পারিনি। তারপর শুরু হয়ে যায় গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের প্রস্তুতি। না জিতলেও বিশ্বের ৮০টি দেশের মধ্যে ২৫তম স্থানে প্রতিযোগিতা শেষ করেছি। এক বছর গ্ল্যামার জগতে থাকার পর আবার পড়াশোনায় ফেরা খুবই কঠিন ছিল। পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে যাওয়া আমার কাছে আশীর্বাদের মতো ছিল। মন, প্রাণ ঢেলে দিয়েছিলাম ভাল রেজাল্ট করতে। তাই সকলকে বলব, যারা মনে করো কোনও কিছু অর্জন করা কঠিন, তা পড়াশোনার ক্ষেত্রেই হোক, কোনও স্বপ্ন বা ভালবাসা, যদি তা মন থেকে চাও, আর লক্ষে স্থির থাকো, তুমি তা অর্জন করতে পারবেই।”
আরও পড়ুন: ক্লাস সিক্সের এই ফেল করা মেয়ে এখন আইএএস টপার
ইতিহাসে ৯৯ শতাংশ পাওয়া পাঙ্খুরি চান মুম্বইতে মাস মিডিয়া নিয়ে পড়াশোনা করতে। যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যেতে পারেন মডেলিংও। এর মধ্যেই কয়েকটি টেলিভিশন সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছেন পাঙ্খুরি।