অতিরিক্ত ওজন গর্ভধারণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আবার গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজনও ডেকে আনছে নানা সমস্যা। যে কারণে সন্তানের পরিকল্পনা শুরু করলে প্রথমেই চিকিত্সকরা বলে থাকেন ওজন কমাতে। কারণ, গর্ভবস্থায় অতিরিক্ত ওজন গর্ভস্থ শিশুর মধ্যে জন্ম দিতে পারে নানা রকম অস্বাভাবিকতা। যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে মৃগী। এর ফলে কিন্তু, শিশুর মস্তিষ্কের স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
গর্ভবতী মায়ের বিএমআই স্বাভাবিকের থেকে যত বেশি হবে, ততই বাড়বে বিপদের আশঙ্কা। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, বিএমআই যদি ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হয় তা হলে গর্ভস্থ শিশুর মৃগীতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। ৩০-এর বেশি বিএমআই হলে ওবেসিটি ধরা হয়। গ্রেড ওয়ান ওবেসিটি-যুক্ত (বিএমআই ৩০ থেকে ৩৫) মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভস্থ শিশুর এই ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। গ্রেড টু ওবেসিটি-র (বিএমআই ৩৫ থেকে ৪০) ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকিই দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে ৪০ শতাংশ হয়ে যায়। যদি মায়ের গ্রেড থ্রি ওবেসিটি থাকে, তা হলে ঝুঁকি বেড়ে যায় ৮২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কৈশোরের ট্রমা মেনোপজের পর ডেকে আনতে পারে অবসাদ
এ বিষয়ে সুই়ডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষক নেডা রাজাজ বলেন, ‘‘প্রজননের বয়সে এসে যে কোনও মহিলারই অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। তা না হলে মৃগীর সমস্যা কখনই মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। তবে শুধু মৃগী নয়, মায়ের অতিরিক্ত ওজনের কারণে গর্ভস্থ অবস্থায় সন্তানের মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। যা থেকে হতে পারে বিভিন্ন নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার। আবার শিশুর মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম পৌঁছনোর ফলে হতে নিওন্যাটাল–অ্যাসফিক্সিয়াতেও আক্রান্ত হতে পারে শিশু।
জামা নিউরোলজি অনলাইন জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।