নিজের মাতৃভাষা ছাড়াও বিদেশি ভাষা জানাকে আমরা দক্ষতা হিসেবেই দেখে থাকি। ইন্টারপ্রেটারদের কদর বিশ্ব জুড়ে। চাকরির ক্ষেত্রেও যে কোনও বহুজাতিক সংস্থা বিদেশি ভাষা জানা থাকলে একটু বেশিই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিদেশি ভাষায় দক্ষতা থাকা এবং অনর্গল কথা বলে যাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে।
অনর্গল বিদেশি ভাষায় কথা বলে যেতে থাকলে তা ভোকাল ফেটিগ তৈরি করে। সেই ক্লান্তি থেকে ভয়েস ডিজঅর্ডার দেখা দিতে পারে। পরীক্ষার জন্য ফিনল্যান্ডের ট্যামপের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০ জন ফিনিশ ও ২৩ জন ইংলিশ অংশগ্রহণকারীকে প্রথমে তাদের নিজেদের ভাষায় একটি লেখা ও পরে অন্য ভাষায় একটি করে লেখা পড়তে দেওয়া হয়। দু’ক্ষেত্রেই পড়ার সময় তাদের কন্ঠস্বর রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে বাচ্চাকে নিয়ে অবশ্যই এই কাজগুলো করুন
দুটি ভাষা পড়ার সময় নিজেদের কন্ঠস্বর পরিবর্তন সম্পর্কে তারা কী ভাবছেন সেই সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তরও দিতে বলা হয়। দেখা যায় বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই বিদেশি ভাষায় কথা বলা বা পড়ার সময় অংশগ্রহণকারীরা চাপা গলায় পড়ছেন। যার ফলে বিদেশি ভাষা পড়ার সময় কন্ঠস্বর শুনতে অনেক ভারী লাগে।
টেমপের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কাটি জারভিনেন জানান, নিয়মিত বিদেশি ভাষায় কথা বললে তা ভোকাল কর্ডের বিভিন্ন খাঁজের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে যে ক্লান্তি তৈরি হয় তার থেকেই বিভিন্ন রকম ধ্বনির সমস্যা ও স্থায়ী ভয়েস ডিজঅর্ডার ঘটতে পারে।