আগে মা, দিদিমারা এই যন্ত্রণা ও ক্ষত সারানোর নানা রকম টোটকা দিতেন বাড়িতেই।
নর্ম্যাল ডেলিভারির ঝক্কি, যন্ত্রণা, সময়ের কথা ভেবে আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলা এবং চিকিত্সকেরা এখন সি-সেকশন ডেলিভারির দিকে ঝোঁকেন। ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদিও উন্নত পদ্ধতির সাহায্যে নর্ম্যাল ডেলিভারিই অনেক বেশি প্রচলিত। নর্ম্যাল ডেলিভারি কষ্টদায়ক হলেও পরবর্তী পর্যায়ে জটিলতা ও তাড়াতা়ড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার কথা মাথায় রেখে অনেক চিকিত্সকই এখনও নর্ম্যাল ডেলিভারির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভ্যাজাইনা ও পেরেনিয়াম টিস্যুতে চাপ পড়া ও ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ভ্যাজাইনার পেশীতে যন্ত্রণায় ভোগা খুবই স্বাভাবিক। আগে মা, দিদিমারা এই যন্ত্রণা ও ক্ষত সারানোর নানা রকম টোটকা দিতেন বাড়িতেই। তাতে তা়ড়াতাড়ি সুস্থও হয়ে উঠত প্রসূতি। আজ জেনে নিন তেমনই এক টোটকা।
কী কী লাগবে
গোটা জিরে: ১ টেবল চামচ
টাটকা আদার রস: ২ টেবল চামচ
গরম জল: আধ কাপ
কী ভাবে বানাবেন
একটা কাপে সব উপকরণ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
কখন খাবেন
প্রতি দিন ব্রেকফাস্টের পর খান এই জল। খুব কম দিনের মধ্যেই এতে যন্ত্রণা কমে যায়।
কী ভাবে কাজ করে এই টোটকা
আদা ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। ত্বকে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে আদা। আদার মধ্যে থাকা পলিফেনল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটর এজেন্ট যা প্রদাহ দূর করে।
জিরের মধ্যে থাকে কিউমিন্যালডিহাইড। এই উত্সেচক প্রহাদ কমিয়ে যন্ত্রণা সারিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: এই ৫ কারণে প্রেগন্যান্সিতে পেটে ব্যথা হতে পারে
হাইজিন মেনে চলুন
এই সময় ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই প্রতি দিন হালকা গরম জলে ক্ষতস্থান ধুয়ে নিন। এতে ব্যাকটেরিয়াল ও ইস্ট ইনফেকশন রোধ করতে পারবেন।
শিশুর জন্মের সময় ভ্যাজাইনার চারপাশের টিস্যুতে চাপ পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে তাই জন্ম দেওয়ার পরও ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। এমনটা হলে অবশ্যই চিকিত্সকের কাছে যান।