এই সময় ত্বক একটু বেশিই সংবেদনশীল হয়ে যায়।
প্রেগন্যান্সির সময় নিজেকে সুন্দর দেখানো বেশ চ্যালেঞ্জিং কাজ। প্রেগন্যান্সি গ্লো চেহারায় নতুন সৌন্দর্য যোগ করলেও নিয়মিত ওয়্যাক্সিং, থ্রেডিংয়ের মতো বিউটি রুটিন মেনে চলা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। যারা নিয়মিত ওয়্যাক্স করাতে অভ্যস্ত তারা এই সময় লোমশ শরীর নিয়ে বেশ অস্বস্তিতেও পড়েন। বিশেষ করে এই সময় ওয়্যাক্সিং করালে তা ডেকে আনতে পারে নানা সমস্যা। তাই প্রেগন্যান্সি ও ডেলিভারির ঠিক পরেই ওয়্যাক্সিং নিয়ে সাবধান করে থাকেন ডাক্তাররা।
প্রেগন্যান্সির সময়
এই সময় ত্বক একটু বেশিই সংবেদনশীল হয়ে যায়। ত্বক স্ট্রেচ করার কারণে স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয়। যার ফলে জ্বালা, চুলকানির মতো সমস্যা হয়। এর উপর ওয়্যাক্সিং করালে তা আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: গর্ভপাতের ঝুঁকি এড়াতে ডায়েটে রাখুন এই ৭ ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ খাবার
যদি খুব অস্বস্তি হয় তা হলে কোনও বড় স্যালোঁতে গিয়ে ওয়্যাক্স করিয়ে আসুন। এমন অনেক স্যালোঁ রয়েছে যেখানে প্রেগন্যান্সির সময় বিশেষ যত্ন নিয়ে ওয়্যাক্স করা হয়। সে রকমই কোনও স্যালোঁ বেছে নিন।
প্রেগন্যান্সিতে কোনও ভাবেই বাড়িতে ওয়্যাক্স করার চেষ্টা করবেন না। বিশেষ করে বিকিনি এরিয়া। বেবি বাম্প খুব ব়ড় হয়ে যাওয়ার কারণে বিকিনি এরিয়া ভাল ভাবে দেখতে পাবেন না। তাই আঘাত লেগে যেতে পারে। এই সময় ত্বকও খুব স্পর্শকাতর থাকে। তাই বিকিনি এরিয়া ওয়্যাক্স করতে চাইলে ভাল কোনও স্যালোঁতে গিয়ে ক্লিনিক্যাল কেয়ারের সঙ্গেই করানো উচিত।
আরও পড়ুন: ভিটামিন বি৩ সাপ্লিমেন্ট কমিয়ে দেয় গর্ভপাতের ঝুঁকি
পোস্টপার্টম
ডেলিভারির পরেই অনেকে আবার আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চান। যার অন্যতম কারণ সেলিব্রিটিদের পোস্টপার্টম লুক। ডাক্তাররা যদিও ডেলিভারির পরই ওয়াক্সিং করতে বারণ করেন। প্রসবের সময় শরীর যে যন্ত্রণা ও ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায় তা কাটিয়ে ওঠার আগেই ওয়্যাক্সিংয়ের ধকল নেওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে বিকিনি এরিয়া এই সময় খুবই স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। তাই বিকিনি ওয়্যাক্স করতে চাইলে অন্তত ৮-৯ মাস পর তা করা উচিত বলে থাকেন ডাক্তাররা।