সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ঘটনা। তা হল দশ বছরে পরিবর্তন। সাধারণ মানুষ থেকে আমজনতা—সবাই দশ বছরে তাঁদের পরিবর্তন ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এই ‘টেনইয়ারচ্যালেঞ্জ’ ভারতীয় ক্রিকেট দলেও অনেক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত দশ বছরে ভারতীয় দলের কী কী বড় পরিবর্তন এসেছে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-অনিল কুম্বলের পরবর্তী সময় ভারতীয় দলের নেতৃত্ব যায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কাঁধে। ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয় ভারতের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ করে। পরবর্তীতে নেতৃত্বের ব্যাটন নেন বিরাট কোহালি। যাঁর নেতৃত্বে এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত।
এই সময় ভারতীয় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়ে যায় আইপিএলের হাত ধরে। যে ভাবে কুড়ি ওভারের মারকাটারি ক্রিকেট বিনোদনের চরম উপাদান হিসেবে উঠে এসেছে, অতীতে তা কল্পনাও করা যেত না।
এক সময় পেস বোলারদের অভাব ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু, যে ভাবে ইশান্ত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামিরা পেসে আগুন ঝরাচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহ ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন আলোর দিশারি।
ভারতীয়দের ফিটনেস লেভেল খুব খারাপ— এই অপবাদ দেশ থেকে বিদেশের মাঠ, বহু দিন তাড়া করেছে ভারতীয়দের। কিন্তু, মহম্মদ কইফ-যুবরাজ সিংহদের হাত ধরে ফিটনেসের যে লড়াই শুরু হয়েছিল বর্তমানে রবীন্দ্র জাডেজা, বিরাট কোহালি, হার্দিক পাণ্ড্যদের আমলে তা পূর্ণতা পেয়েছে।
বিষেণ সিংহ বেদী-প্রসন্ন বা পরবর্তীতে অনিল কুম্বলে— ভারতীয় স্পিনের অন্যতম তারকা ছিলেন এঁরাই। আর বর্তমানে ভারতীয় দলের দুই রিস্ট স্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদব গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যে ভাবে বল করলেন তাঁরা, কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
তিনি শুধু ভারতীয় ক্রিকেটের নন বিশ্বের সর্বকালের সেরা। বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরানের শতরানের রেকর্ড তাঁর দখলে। ভারতের প্রথম ক্রীড়াবীদ হিসেবে ‘ভারতরত্ন’ সম্মান পেয়েছেন সচিন তেণ্ডুলকর।
যত দিন এগিয়েছে, ভারতের স্থানীয়-আঞ্চলিক ক্রিকেটের গুরুত্ব ততই বেড়েছে। আগে মহারাষ্ট্র-দিল্লির মতো মূলত গুটিকয়েক রাজ্য মধ্যেই সীমিত ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের গতিবিধি। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। বুমরা-ময়াঙ্কের মতো ক্রিকেটারদের উত্থান এ কথাই প্রমাণ করে।
এই মুহূর্তে তিন ধরনের ক্রিকেটে রাজ করছে ভারত। টেস্টে এক নম্বর দল কোহালিরা। পাশাপাশি টি২০ এবং একদিনের ম্যাচে আইসিসি-র তালিকায় দু’নম্বরে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। শেষ কবে তিন ধরনের ক্রিকেটে এমন দাপট দেখা গিয়েছে বলা কঠিন।