সিডনিতে দ্বিতীয় নজিরের পথে ওয়ার্নার। ছবি: এএফপি।
একশো চল্লিশ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে বিশ্বের মাত্র পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের প্রথম দিন লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরি। এ বার টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। একই ম্যাচের দু’ইনিংসে দু’টো অমর কীর্তি। একই ক্রিকেটারের। ডেভিড ওয়ার্নার।
এসসিজিতে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান তৃতীয় টেস্টে রানের ফুলঝুরি। দু’দলেরই হরেক ব্যাটিং নজির। বোলারদের নানা হেনস্থার লজ্জা। অস্ট্রেলিয়া শিবিরে আবার একাধিক চোট-আঘাতের ঘটনা। কিন্তু এ সবের মধ্যে অস্ট্রেলীয় ওপেনার ওয়ার্নারের নামে এই টেস্ট হয়তো লেখা থাকবে।
ইউনিস খানের অসাধারণ অপরাজিত ১৭৫-এর দাপটে পাকিস্তান এ দিন প্রথম ইনিংসে ৩১৫ পর্যন্ত পৌঁছয়। বিপক্ষকে সুযোগ পেয়েও ফলো অন না করিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তোলার লক্ষ্যে নেমে মাত্র ৩২ ওভারে ২৪১-২ ডিক্লেয়ার করে দেয়। যেটা করতে পারার পিছনে ওয়ার্নারের ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরির (শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হন ২৭ বলে ৫৫ করে) অবদান সবচেয়ে বেশি। তাঁর চেয়ে কম বলে টেস্টে হাফসেঞ্চুরির নজির মাত্র একটা— মিসবা-উল-হকের ২১ বল। মিসবাকে ওয়ার্নার টপকাতে না পারলেও ভেঙে দিয়েছেন ৩৮ বছরের পুরনো রেকর্ড— অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এর আগে ব্রুস ইয়ার্ডলির সবচেয়ে কম বলে (২৯) হাফসেঞ্চুরি করার নজিরকে। ইয়াসির শাহর এক ওভার থেকে ওয়ার্নার ২১ রান নিলে সেটাই আপাতত হয়ে থাকছে পাক স্পিনারের সবচেয়ে খারাপ ওভার।
জেতার জন্য পাকিস্তান ৪৬৫ রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে ৫৫-১। তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে ব্রাউনওয়াশ করতে শেষ দিন ন’টা উইকেট দরকার স্টিভন স্মিথের দলের।