চোলে স্মিথ।
প্রতিদিনের মতোই বাবার হাত ধরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিল ছোট্ট মেয়ে চোলে স্মিথ। হাঁটতে হাঁটতেই চোখ চলে যায় রাস্তার পাশের আবর্জনায়। সেখানে চকচক করছে কিছু একটা। গত জুন মাসের ঘটনা। ছোট্ট মেয়ের কৌতূহল বেড়ে যায়। বাবার হাত ছাড়িয়ে আবর্জনা থেকে সে তুলে নেয় সোনালি রঙের বস্তুটি। বাড়িতে নিয়ে আসে।
রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে মাঝে মাঝেই এ রকম কিছু না কিছু কুড়িয়ে নিয়ে আসত চোলে। কিন্তু এ বারেরটা একটু অন্য রকম ছিল। জর্জিয়ার আটলান্টার ঘটনা। কয়েক দিন পর চোলে জানতে পারে প্রতি দিনই প্রায় কুড়িয়ে আনা সামগ্রীর থেকে এটা অনেকটাই আলাদা। চুরি যাওয়া সোনার অলিম্পিক্স পদক রাস্তা থেকে তুলে এনেছে সে!
১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিক্সে এই পদকটি পেয়েছিলেন ক্যানোয়িস্ট জো জ্যাকবি। দলগত বিভাগে আমেরিকার হয়ে সোনা জিতেছিলেন তিনি। গত মে মাসেই আরও অনেক জিনিসের সঙ্গে এই পদকটিও চুরি গিয়েছিল জ্যাকবির গাড়ি থেকে। বাকি সব পুলিশ খুঁজে পেলেও সব থেকে মূল্যবান অলিম্পিক্স পদকটি খুঁজে পাননি তাঁরা। এটা হয়তো সারা জীবনের জন্য হারিয়ে যেত জ্যাকবের জীবন থেকে, যদি না এই ছোট্ট মেয়েটির চোখ সেটি খুঁজে পেত।
স্মিথের রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে থাকা জিনিস খুঁজে বের করার অভ্যেসই জ্যাকবকে ফিরিয়ে দিল জীবনের সেরা সম্পদ। চোলের মা পরে বলেন, ‘‘এটা ওর বাবারও অভ্যেস। রাস্তা থেকে সব সময়ই কিছু না কিছু কুড়িয়ে নিয়ে আসবেই।’’ ওই পদক দেখেই কিছু দিন আগে টিভিতে দেখা খবরের কথা মনে পড়ে যায় চোলের মায়ের। সঙ্গে সঙ্গে জ্যাকবির ই-মেল খুঁজে তাঁকে পদকের ছবি-সহ মেল করেন তিনি। চোলেকে ৫০০ ডলার পুরস্কার হিসেবে দেন জ্যাকবি। তাঁর সঙ্গে আবার দেখার করার কথাও দেন। জ্যাকবি বলেন, ‘‘আমি চোলের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করলাম। ওরা খুব ভাল মানুষ। আমার চোখে চোলে একজন অলিম্পিয়ান।’’ মহা মূল্যবান সম্পদ পেয়ে ফিরিয়ে দেওয়াটাকেই স্যালুট করে গেলেন সোনাজয়ী অলিম্পিয়ান।