অভিনেতা শোয়েব কবীর। ছবি: সমাজমাধ্যম থেকে সংগৃহীত।
হুমায়ুন কবীরের নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টি-তে (জেইউপি) যোগ দিলেন টলিউডের অভিনেতা তথা শাসকদল তৃণমূলের যুব নেতা শোয়েব কবীর। ভরতপুরের বিধায়কের সদ্য তৈরি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েই রাজ্য মুখপাত্র হিসাবে মনোনীত হয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তাঁর দলত্যাগের অন্যতম কারণ। তা ছাড়া শাসকদলে তরুণ প্রজন্ম উপেক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
একসময় তৃণমূলের যুব সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে শোয়েবকে সামনের সারিতে দেখা যেত। মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতিও করা হয়েছিল তাঁকে। বড়পর্দাতেও কাজ করছেন শোয়েব। অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘মির্জ়া’ ছবিতে অঙ্কুশ হাজরার সহ-অভিনেতা ছিলেন তিনি। মুম্বই হামলার ঘটনা নিয়ে তৈরি ওটিটি সিরিজ় ‘স্টেট অফ সিজ়: ২৬/১১’-তে অজমল কসাবের চরিত্রে দেখা গিয়েছে শোয়েবকে। দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে শোয়েবের মন্তব্য, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু ওই দলে এখন ভাঙন স্পষ্ট। একজন তরুণ রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমার মনে হয়েছে, এই দমবন্ধ করা পরিস্থিতির বদল দরকার। দলের মধ্যে যে আদর্শগত বিচ্যুতি ঘটছে, তা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে কঠিন হচ্ছিল। সেই তাগিদ থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
কিন্তু দল ছেড়ে কেন হুমায়ুনের তৈরি নতুন রাজনৈতিক দলে গেলেন? মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্রের ব্যাখ্যা, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও একটা সময় দল ছেড়ে (কংগ্রেস) বেরিয়ে নতুন দল গড়েছিলেন। আমি তাঁর সেই লড়াকু মানসিকতা থেকে অনুপ্রাণিত। আমার মনে হয়েছে, নতুন কিছু করার এটাই সঠিক সময়।”
দল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে নানা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন হুমায়ুন। প্রার্থী চয়ন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন ওই বিধায়ক। তার সঙ্গে সংগঠন বাড়ানোর কাজেও তিনি ব্যস্ত। বিভিন্ন ক্ষেত্রের কিছু পরিচিত মুখকে দলে টানার চেষ্টা করছেন। হুমায়ুন-ঘনিষ্ঠদের মতে, ‘‘শোয়েবের মতো জনপ্রিয় মুখ দলে যোগ দেওয়াটা ইতিবাচক দিক। এমন আরও অনেকে যোগদান করবেন জেইউপি-তে।’’