—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এ বার সেই প্রকল্পের আওতায় থাকা ছাত্রীরা ফুটবল মাঠ দাপাতে নামছে। আজ, রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামে জেলাস্তরের আন্তঃব্লক ফুটবল খেলায় যোগ দেবে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের ৮টি দল। প্রতিটি দলের সব খেলোয়াড়ই কন্যাশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তা।
আগামী ২৮ জুলাই ঝাড়গ্রাম জেলাস্তরের কন্যাশ্রী উৎসব হবে নয়াগ্রাম ব্লকে। তার আগে আজ, রবিবার জেলাস্তরের কন্যাশ্রী ফুটবল প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে নয়াগ্রাম স্টেডিয়ামে। প্রশাসন সূত্রের খবর, নয়াগ্রাম স্টেডিয়ামটি তৈরি হওয়ার পরে এই প্রথমবার সেখানে খেলা হবে। এবার ঝাড়গ্রাম জেলার ৮টি ব্লকে কন্যাশ্রীদের নিয়ে ফুটবল দল তৈরি করা হয়েছে। নক আউট পদ্ধতিতে চারটি রাউন্ডে আটটি দল খেলবে। এরপর আরও দু’টি রাউন্ডে সেমিফাইনাল এবং শেষে ফাইনাল খেলাটি হবে। বিজয়ী ও বিজিত দু’টি দলকে জেলা কন্যাশ্রী কাপ ও রানার্স আপ কাপ দেওয়া হবে।
ঝাড়গ্রাম জেলা সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি জানান, আটটি দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ২৮ জুলাই, শুক্রবার কন্যাশ্রী উৎসবের মঞ্চে মেডেল দেওয়া হবে। ওই দিন জেলাস্তরের কন্যাশ্রী উৎসব হবে নয়াগ্রাম ব্লক অফিস চত্বরে। বিয়ে আটকানোর জন্য পুরস্কৃত করা হবে জামবনি ও বেলিয়াবেড়া ব্লকের দুই কন্যাশ্রীকে। খেলাধুলো-সহ নানা ক্ষেত্রে কৃতী ৩২ জন কন্যাশ্রীকে দেওয়া হবে বিশেষ সংবর্ধনা। জেলার ৮টি ব্লক ও ঝাড়গ্রাম পুর এলাকার ২৭টি স্কুল ও ৩টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে কন্যাশ্রী প্রকল্প সফলভাবে রূপায়ণের জন্য পুরস্কৃত করা হবে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত ও নয়াগ্রাম ব্লকের বিডিও বিজয় সরকার জানালেন, জেলাস্তরের কন্যাশ্রী উৎসবটিকে অন্য মাত্রা দেওয়া হচ্ছে। উৎসবের থিম ‘কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী’। সারা বিশ্বে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প সমাদৃত হয়েছে। তাই উৎসব প্রাঙ্গণে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে কন্যাশ্রীরা। সুব্রত কাপ জয়ী মহিলা ফুটবল দল ও তিরন্দাজিতে নয়াগ্রামের বিশ্বজয়ীদেরও সংবর্ধনা জানানো হবে।