সমর্থন: গুয়াহাটিতে ভারতের হার্লিন দেওয়ল। মহিলা ক্রিকেটের প্রসার চাইছেন ওয়ার্নও। পিটিআই
আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর কিছু দিন আগেই টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শনিবার এমসিসি জানিয়ে দিল, ৮৬ শতাংশ দর্শক টেস্ট ক্রিকেট দেখাই পছন্দ করে।
এমসিসির তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল একশোটি দেশের ১৩ হাজার সমর্থককে নিয়ে। যে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮৬ শতাংশ সমর্থকই বলেছেন, টেস্ট ক্রিকেটেই তাঁদের প্রথম পছন্দ। তার পরে ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক এবং টি-টোয়েন্টি ঘরোয়া ক্রিকেট। এমসিসির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টেস্টের প্রতি আকর্ষণই সব চেয়ে বেশি। এবং সেই আকর্ষণ কোনও নির্দিষ্ট দল বা কোনও বিশেষ বয়সসীমার মধ্যে আটকে নেই।’’
তবে দর্শকরা নিজেদের কিছু চাহিদার কথাও তুলে ধরেছেন এই সমীক্ষায়। তাঁদের দাবি, টেস্ট ম্যাচে টিকিটের দাম কিছুটা কমাতে হবে, টিকিট যাতে সহজে দর্শকদের কাছে পৌঁছয়, সেটা দেখতে হবে। তা ছাড়া অর্ধেক দিনের খেলা দেখার টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পরিবার নিয়ে মাঠে আসা যায়।
গত বছর আইসিসি এ রকমই একটা সমীক্ষা করেছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল, ক্রিকেট সমর্থকের সংখ্যা একশো কোটিরও বেশি। আর সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৯ হাজার দর্শকের মধ্যে ৭০ শতাংশই টেস্ট ক্রিকেট দেখতে আগ্রহী। গত মাসে মনোহর বলেছিলেন, পাঁচ দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট দেখার সময় এখন আর মানুষের নেই। টেস্ট ক্রিকেটেও শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। কিন্তু এমসিসির এই সমীক্ষা পুরো অন্য কথা বলছে।
এমসিসি বিশ্ব ক্রিকেট কমিটিতে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম,রিকি পন্টিং, কুমার সঙ্গকারা এবং শেন ওয়ার্ন। যে কমিটি পুরোপুরি সায় দিয়েছে, ২০২২ সালের কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা চালু করার ব্যাপারে। বেঙ্গালুরুতে এমসিসি বৈঠকের পরে ওয়ার্ন বলেছেন, ‘‘দু’বছরে দুটো দারুণ বিশ্বকাপের পরে মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে এখন যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এখন এই জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে মেয়েদের ক্রিকেটকে কমনওয়েলথ গেমসের মতো প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসা যায়।’’ নিউজিল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সুজি বেটস বলেছেন, ‘‘মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যদি বার্মিংহ্যামের কমনওয়েলথ গেমসে দেখতে পাওয়া যায়, তা হলে তার চেয়ে দারুণ ব্যাপার আর কিছু হবে না।’’