মেসির সঙ্গে লড়াইও চলে আমার: নেমার

ক্লাব মরসুম ক্রমে শেষের দিকে এগোচ্ছে। বার্সেলোনার হয়ে লুইস এনরিকের কোচিংয়ে ট্রফির খোঁজে এমএসএন। তাঁদেরই এক জন, নেমার দ্য সিলভা জুনিয়র বৃহস্পতিবার এক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্যারিস সঁ জরমঁ ম্যাচ থেকে ক্লাব সতীর্থদের নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩৩
Share:

সোজাসাপ্টা: রবিনহো তাঁর আদর্শ বললেন নেমার। —ফাইল চিত্র।

ক্লাব মরসুম ক্রমে শেষের দিকে এগোচ্ছে। বার্সেলোনার হয়ে লুইস এনরিকের কোচিংয়ে ট্রফির খোঁজে এমএসএন। তাঁদেরই এক জন, নেমার দ্য সিলভা জুনিয়র বৃহস্পতিবার এক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্যারিস সঁ জরমঁ ম্যাচ থেকে ক্লাব সতীর্থদের নিয়ে।

Advertisement

প্যারিস সঁ জরমঁ-কে হারানো।

গুরুত্বের দিক দিয়ে বলব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ওই ম্যাচটা আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আর আবেগের দিক দিয়ে সম্ভবত সবার ওপরে থাকবে। অলিম্পিক্স, কনফেডারেশনস কাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের চেয়ে এগিয়ে রাখব এই ম্যাচটাকে। ছ’নম্বর গোলটা করার পরে আমাদের মানসিক অবস্থা যা হয়েছিল, কোনও ম্যাচ জিতে সে রকম হয়নি। তবে গুরুত্বের দিক দিয়ে অলিম্পিক্স সবার আগে থাকবে।

Advertisement

সের্জি রবের্তো গোলটা করার পর কী মনে হচ্ছিল।

সের্জি যখন বলটা গোলে পাঠাল, আমি লাইন্সম্যানের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আকুতি করছিলাম, যাতে ও সেন্টার লাইনের দিকে ছোটে। যে মুহূর্তে লাইন্সম্যান মাঝমাঠের দিকে ছুটতে শুরু করল, আবেগের একটা বিস্ফোরণ ঘটে গেল মাঠে। কেউ চিৎকার করছিল, কেউ মাঠে শুয়ে পড়েছিল, কেউ তো অশ্লীল শব্দও বলছিল, যেটা আমি এখানে বলতে পারব না।

মেসি-রোনাল্ডোকে সরিয়ে ব্যালন ডি’অর জেতা।

আমার কাছে সেটা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে এটা একটা স্বপ্ন। সোনার বলটা জেতা। তবে আমার কিন্তু কোনও তাড়া নেই। আর শুধু ব্যালন ডি’অর জিতব, এই লক্ষ্য নিয়ে আমি খেলি না। আমি খেলি খুশি থাকার জন্য। ফুটবল আমাকে আনন্দে রাখে। সব সময় চেষ্টা করি আমার ক্লাব, আমার দলকে নিজের খেলা দিয়ে যতটা পারি সাহায্য করার।

মেসি-সুয়ারেজের পাশে খেলা।

অবশ্যই ওদের প্রভাব আমার ওপর পড়ে। আর একটা মজার ব্যাপারও আছে। আমাদের নিজেদের মধ্যে একটা লড়াই আছে। আমি ডান পায়ের প্লেয়ার। আমি একটা সাইডে খেলি। আবার মেসি বাঁ পায়ের প্লেয়ার, ও খেলে ডান দিকে। আর সুয়ারেজ হল আমাদের স্কোরার। আমাদের নিজেদের মধ্যে সব সময় একটা লড়াই চলে।

বার্সেলোনার বাইরে কোন প্লেয়ারের খেলা দেখেন।

আমার আইডল এক জনই। রবিনহো। ও এখনও খেলছে। আর বার্সেলোনায় আসার পরে আমি যার খেলার ভক্ত হয়ে পড়েছি, সে মেসি। মেসি আমাকে বার্সেলোনায় এনেছে বলেই যে আমি ওর ভক্ত হয়ে পড়েছি, তা কিন্তু নয়। ও মাঠে যা সব করে, সেটা দেখার পরে যে কেউ ওর ভক্ত হয়ে যাবে।

বার্সেলোনায় কোন প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলারকে দেখতে চান।

আমার একটা নামই মনে আসছে। কুটিনহো। ফিলিপ কুটিনহো এমন এক জন ফুটবলার যে সহজেই বার্সেলোনার খেলার স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন