কলম্বোর এনসিসি ইন্ডোরে টিম কোহলি। ছবি: এএফপি
তাঁর শেষ টেস্ট সিরিজ। তাও পুরোটা নয়, ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের পরই অবসর নেবেন কুমার সঙ্গকারা। বিরাট কোহলিদের শ্রীলঙ্কা সফরে তাই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ বিদায়ী তারকাকে নিয়ে। শেষ দু’টেস্টে তাঁর বিরুদ্ধে যাঁদের বল করতে হবে, সেই ভারতীয় বোলাররা সঙ্গাকে নিয়ে কী ভাবছেন?
প্রশ্নটা শুনে প্রথমেই মশকরা দিয়ে শুরু করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বলে ওঠেন, ‘‘আমার বোধহয় ফুলের তোড়া নিয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করা উচিত!’’ পরে সিরিয়াস হয়ে বলেন, ‘‘নিজের উইকেটের দর ও নিজেই আকাশে তুলে দিয়েছে। একবার কেউ ওকে আউট করলে সেই বোলারের বিরুদ্ধে ও কিছুতেই আউট হতে চায় না। যে কোনও বোলারের পক্ষেই এটা বড় চ্যালেঞ্জ।’’ কাউন্টি ক্রিকেটে গত তিন সপ্তাহে দু’টি সেঞ্চুরি পাওয়া সঙ্গকারা যে ভারত ও টেস্ট জয়ের মধ্যে অন্যতম প্রধান বাধা, তা কার্যত মেনে নিয়েই অশ্বিন বলেন, ‘‘সঙ্গকারা কিংবদন্তি। তাই এই সিরিজে আমার নিজেকে একশো শতাংশ উজাড় করে দিতেই হবে।’’
অন্য দিকে যখন শ্রীলঙ্কার বিদায়ী কিংবদন্তি প্রসঙ্গ তোলা হয় ওপেনার মুরলী বিজয়ের সামনে, তখন তিনি বলেন, ‘‘মাহেলা জয়বর্ধনের পর এ বার সঙ্গকারারও অবসর। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কাকে দেখে আমার মনে হয়েছে এই দু’জনের জায়গা ভরাট করার মতো প্রতিভা ওদের আছে। আমাদের মতো ওদেরও অনেক তরুণ ব্যাটসম্যান রয়েছে। তাদের নিয়েও হোমওয়ার্ক করেছি।’’ অর্থাৎ সঙ্গকারা-সহ ও সঙ্গকারাহীন শ্রীলঙ্কা— দুই বিপক্ষ নিয়েই আলাদা করে ভেবে রেখেছে টিম বিরাট।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন যুদ্ধের আগে মহড়ায় যে ভাবে নানা মুহূর্তে ধরা দিলেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। ছবি: রয়টার্স
সঙ্গকারা ছাড়া শ্রীলঙ্কার আর একজন দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারে ভারতকে। তিনি লাসিথ মালিঙ্গা। মঙ্গলবার যাঁর প্রসঙ্গ তুলে সচিন তেন্ডুলকরকে এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের তাঁর মোকাবিলা কী ভাবে করা উচিত। জবাবে সচিন বলেন, ‘‘এর উত্তরটা খুব কঠিন। এমন বিচিত্র অ্যাকশনের পঞ্চাশ শতাংশও কোনও বোলারের মধ্যে দেখিনি। বিশ্বমানের বোলার। অনেকেই যখন আমাকে এই প্রশ্নটা করেন তখন বলি, ওর চুল নয়, বল দেখে খেলো।’’
স্বয়ং তেন্ডুলকর মালিঙ্গা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে সতর্ক থাকতে বললেন ঠিকই। কিন্তু লঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়কই তেমন বিশ্বাস রাখতে পারছেন না নিজের টিমের উপর। সনৎ জয়সূর্যের মনে হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার সময় এখন মোটেও ভাল চলছে না। ‘‘আমরা তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ভাল খেলিনি। তবে এটাও বুঝতে হবে আমাদের দেশের ক্রিকেট এখন একটা সন্ধিক্ষনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মাহেলা, সঙ্গাকারা, দিলশানের মতো সিনিয়ররা অবসর নিয়ে ফেলেছে। চেনা পরিবেশে আমাদের প্লেয়াররা ভাল করবে বলেই মনে হয়। কিন্তু ভারতও খুব ভাল খেলছে এখন।’’