—ফাইল চিত্র।
এএফসি এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বনাম কাতার ম্যাচে গোলমালের ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল এশিয়ার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা।
মঙ্গলবার আবু ধাবির মহম্মদ বিন জ়ায়েদ স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশ আমিরশাহির বিরুদ্ধে কাতারের দ্বিতীয় গোলের পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে আবহ। গ্যালারি থেকে কাতারের ফুটবলারদের লক্ষ্য করে জুতো, জলের বোতল ছুড়তে থাকেন দর্শকেরা। অভিযোগ, তাঁরা সকলেই আমিরশাহির সমর্থক। বোতল বৃষ্টির জন্য কাতারের মিডফিল্ডার আক্রম আরিফ কর্নার নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। বোতল উড়ে এসে লাগে আর এক মিডফিল্ডার সালেম আল হাজরির মাথায়। একটি প্লাস্টিকের বোতল লাগে কাতারের ক্রসবারে। ম্যাচের আগে কাতারের জাতীয় সঙ্গীতের সময়েও বিদ্রুপ করেছিলেন আমিরশাহির সমর্থকেরা।
পশ্চিম এশিয়ায় জুতো ছুড়ে মারাকে চরম অসম্মানজনক মনে করা হয়। এএফসি কাপ সেমিফাইনালের এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বে। এশিয়ার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার মুখপাত্র বুধবার বলেছেন, ‘‘তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কী শাস্তি হতে পারে আমিরশাহির? এএফসি মুখপাত্র তা নিয়ে মন্তব্য করেননি।
রাজনৈতিক কারণে কাতারের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার অনেক দেশেরই সুসম্পর্ক নেই। সেই তালিকায় আমিরশাহিও রয়েছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করে আমিরশাহি, বাহরিন, মিশর ও সৌদি আরব কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক ভাবে বয়কট করেছে কাতারকে। শুধু তাই নয়। এই চারটি দেশে কাতারের নাগরিকদের প্রবেশও নিষিদ্ধ। ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ম্যাচের অবিক্রীত টিকিট নাকি বিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমিরশাহি সমর্থকদের মধ্যে। যার ফলে ৪২ হাজার আসনের স্টেডিয়ামের সিংহভাগ জুড়ে ছিলেন আমিরশাহির সমর্থকরা।