Johnny Acosta

দিল্লির দূতাবাসেই দিন কাটছে ক্ষুব্ধ আকোস্তার

গত সোমবার কলকাতা ছেড়ে দিল্লিতে গিয়েছেন আকোস্তো। সেখান থেকে ১৯ জুনের বিমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কোস্টা রিকায় ফেরার কথা তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ০৩:২১
Share:

হতাশ: বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় জনি আকোস্তা। ফাইল চিত্র

বন্ধুর সাহায্যে কোস্টা রিকায় ফেরার বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। কলকাতা ছাড়ার আগে গত রবিবার ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন জনি আকোস্তা। এ বার বেতন বকেয়া রাখা নিয়ে ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন কোস্টা রিকার হয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলা ডিফেন্ডার।

Advertisement

গত সোমবার কলকাতা ছেড়ে দিল্লিতে গিয়েছেন আকোস্তো। সেখান থেকে ১৯ জুনের বিমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কোস্টা রিকায় ফেরার কথা তাঁর। সোমবার থেকে দিল্লিতে কোস্টা রিকার দূতাবাসেই রয়েছেন আকোস্তা। তাঁর অভিযোগ, ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে বলায় বাধ্য হয়েই এত দিন আগে দিল্লি চলে এসেছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, ‘‘কলকাতায় আমার এক বন্ধু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে হয়তো দেশে ফিরতেই পারতাম না।’’ দিল্লিতে কোস্টা রিকার দূতাবাসই তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন আকোস্তা। ক্ষুব্ধ বিশ্বকাপার কয়েক দিন আগেই ইন্সটাগ্রামে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘‘জীবনের একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। চুক্তি থেকে বেতন সমস্যা, সব কিছুরই মুখোমুখি হতে হল শেষ পর্বে এসে। আমার কোস্টা রিকা ফেরা নিয়েও টিম ম্যানেজমেন্ট সহায়তা করেনি।’’

প্রশ্ন উঠছে দু’টো বিশ্বকাপ খেলা ডিফেন্ডারকে কেন বন্ধুর সাহায্য নিতে হয়েছে দেশে ফেরার বিমানের টিকিট কাটার জন্য? জানা গিয়েছে, আকোস্তার ক্ষোভ মূলত লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধেই। তাঁরাই বাসস্থান ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ পাঠান। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণের সময়ে এমন নোটিশকে ‘অমানবিক’ আখ্যাই দিচ্ছেন অনেকে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থার তরফে ই-মেল করে যদিও দাবি করা হয়েছে, ‘‘ফরাসি পাসপোর্টধারী কাশিম আইদারা মে মাসে ইংল্যান্ডে ফিরতে রাজি হননি। ১৩ জুন ওঁর কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরের দিন লন্ডন উড়ে যান তিনি। দিল্লির হোটেলে এক রাত থাকার খরচও দেওয়া হয়েছে কাশিমকে। এয়ার ইন্ডিয়া ও কোস্টা রিকা দূতাবাসের সহযোগিতায় মে মাস এবং জুনের শুরুতে আমরা আকোস্তার বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু উনি ফিরতে রাজি হননি। তার পরে নিজেই কোস্টা রিকার দূতাবাসের সাহায্যে ফেরার টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন