ঐতিহাসিক আই লিগ জেতার পর কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। আর তার মাঝেই নতুন লড়াই শুরু করে দিয়েছে আইজল এফসি।
তবে এই লড়াই মাঠের মধ্যে নয়। মাঠের বাইরে। আর তা হল আইএসএল-এ খেলার দাবি। সোমবারই ফেডারেশন কর্তাদের কাছে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন আইজল এফসি-র মালিক রবার্ট রোমাউইয়া রয়তে। মিজোরাম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সরাসরি ফেডারেশন কর্তাদের বলেন, আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাঁরাই আইএসএল-এ খেলার প্রধান দাবিদার।
মঙ্গলবার আইজল থেকে ফোনে রয়তে এ কথা স্বীকার করে বললেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আমরা। এ বার আমরা এএফসি কাপ খেলব। ফলে এই মুহূর্তে আমরা দেশের এক নম্বর ফুটবল টিম। ফলে যোগ্য দল হিসেবেই আমরা আইএসএল খেলার দাবিদার। ফেডারেশন কর্তাদের আমাদের এই দাবি জানিয়ে দিয়েছি।’’
আইজলের এই শীর্ষ কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ফেডারেশনের কাছে এ ব্যাপারে তাঁরা কোনও লিখিত দাবি পেশ করবেন কি না। যা শুনে রয়তের সোজাসাপটা উত্তর, ‘‘চিঠি কেন দিতে যাব! আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের বাদ দিয়ে দেশের সেরা লিগ কী ভাবে হওয়া সম্ভব? এই মুহূর্তে কোনও চিঠি আমরা ফেডারেশনকে দিচ্ছি না।’’
এখনও পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে আগামী মরসুম থেকেই আইএসএল নতুন করে চালানোর কথা ভাবা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আই লিগ হয়ে যাবে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ। আইএসএলে খেলানোর জন্য আই লিগের যে তিনটি টিমকে নিয়ে ফেডারেশন এবং আইএমজি-আর কর্তারা চিন্তাভাবনা করছেন, সেই তিন টিম হল মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং বেঙ্গালুরু এফসি। যে তালিকায় নেই চ্যাম্পিয়ন আইজল এফসি। যদি কলকাতার দুই প্রধানের সঙ্গে বেঙ্গালুরু আইএসএল খেলে তা হলে এই প্রথম এমন হতে পারে যে, আই লিগ জয়ী টিম দেশের সর্বোচ্চ লিগে খেলছে না। তারা খেলছে দ্বিতীয় ডিভিশনে। সূত্রের খবর, রবার্ট নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে এমন কথাও বলেছেন যে, যদি ফেডারেশন তাঁদের দাবিকে গুরুত্ব না দেয় তা হলে আইনি পথে যাওয়ার কথা ভাববেন তাঁরা।
ফেডারেশন কর্তারা জানিয়েছেন, আইজলের বক্তব্য নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন আইএসএল-এর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আইজল এফসি-কে শেষমেশ আইএসএল-এ অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা অনিশ্চিত।