Wrestler

‘জাতীয় সংস্থায় চাই মহিলা প্রধান’, কেন্দ্রের কাছে পাঁচ দফা দাবি প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের

অনুরাগ ঠাকুরের অনুরোধ মেনে বুধবার তাঁর বাড়িতে দেখা করেন প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা। সেখানে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ১৩:২৫
Share:

(বাঁ দিক থেকে) বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক এবং বিনেশ ফোগট। — ফাইল চিত্র

কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিরেরা। বৈঠক শেষ হয়েছে। মোট পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকেরা। এর মধ্যে জাতীয় কুস্তি সংস্থায় মহিলা প্রধান নিয়োগ করার দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisement

কুস্তিগিরেরা যে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তা হল:

১) জাতীয় কুস্তি সংস্থায় অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।

Advertisement

২) সংস্থার মাথায় মহিলা প্রধান নিয়োগ করতে হবে।

৩) ব্রিজভূষণ এবং পরিবারের কেউ যেন জাতীয় কুস্তি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকতে না পারেন।

৪) নতুন সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ জানানো হয়েছে তা খারিজ করতে হবে।

৫) ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করতে হবে।

বুধবার সকাল থেকেই অনুরাগের বাড়িতে এক এক করে পৌঁছন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকেরা। ছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতও। এর মধ্যেই জানা যায়, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাকি ফোন করে কুস্তিগিরদের দ্বিতীয় বার আলোচনা করার অনুরোধ করেছিলেন। মঙ্গলবার একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বজরং। তার পরেই তাঁর কাছে ফোন আসে শাহের। তিনি অনুরোধ করেন আর এক দফা বৈঠকের জন্য। কিন্তু তিনি নিজে বৈঠক করবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। অমিতের অনুরোধের পরে বজরং পাল্টা বলেন, গোপনে আর তাঁরা কোনও বৈঠক করতে রাজি নন। এর পরেই অনুরাগ টুইট করেন।

মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৭ মিনিটে টুইট করেন অনুরাগ। লেখেন, “কুস্তিগিরদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক সরকার। সে কারণে আলোচনার জন্যে কুস্তিগিরদের কাছে আবার আমন্ত্রণ পাঠিয়েছি।”

এ দিকে, মঙ্গলবার ব্রিজভূষণের বাড়িতে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত কুস্তিকর্তার উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। দীর্ঘ দিন ধরেই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন কুস্তিগিরেরা। সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা এফআইআর করেছিলেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ প্রথমে জানিয়েছিল যে, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি তারা।

পুলিশ যে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাঁদের মধ্যে ব্রিজভূষণ রয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। ব্রিজভূষণ নিজে বাড়িতে ছিলেন কি না তা-ও অজানা। যাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, তাঁদের নাম, ঠিকানা এবং পরিচয়পত্র নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। প্রমাণ হিসাবে এই তথ্য নিয়েছে তারা। ব্রিজভূষণের পাশে দাঁড়ানো বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মোট ১৩৭ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন