মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে, আমার গাইড বিরাট

টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়াটা কোনও তরুণ স্পিনারের পক্ষে সহজ নয়। জাডেজা-অশ্বিনকে বিশ্রাম দিতেই দরজাটা খুলল। এবং চিন্নাস্বামীর টি-টোয়েন্টিতে এক ঝটকায় তিনি রীতিমতো নায়ক। সাফল্যের পিছনের কথা আনন্দবাজারকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন যুজবেন্দ্র চহল।টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়াটা কোনও তরুণ স্পিনারের পক্ষে সহজ নয়। জাডেজা-অশ্বিনকে বিশ্রাম দিতেই দরজাটা খুলল।

Advertisement

চেতন নারুলা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৭
Share:

প্রশ্ন: গত বছর জিম্বাবোয়ে সিরিজে খেলেছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুযোগ পাওয়াটা আপনার ক্রিকেট কেরিয়ারে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

Advertisement

চহল: অবশ্যই জিম্বাবোয়েতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা দারুণ ছিল। কিন্তু সেই দলটা তো পুরো শক্তির ভারতীয় দল ছিল না। তা ছাড়া জিম্বাবোয়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শক্তির কোনও তুলনা হয় না। তাই এই সিরিজে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে নিজেকে পরীক্ষা করার একটা সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই পরীক্ষায় যে সফল হতে পেরেছি সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।

প্রশ্ন: কানপুরে অমিত মিশ্রের আগে আপনাকে দলে সুযোগ দেওয়ায় অবাক হয়েছিলেন?

Advertisement

চহল: একটা আশা তো ছিলই সুযোগ পাওয়ার। আইপিএল থেকেই আমরা পরস্পরকে ভালো চিনি। তবে অমিতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রচুর অভিজ্ঞতা। ও আমার সিনিয়র বোলারও। তবে ক্যাপ্টেন জানত আমি কী রকম বোলার। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। তাই একটা আত্মবিশ্বাস ছিল চান্স পাব।

প্রশ্ন: বিরাট কোহালির আপনার উপর প্রচুর আস্থা। এর কারণ কী?

চহল: বিরাট আমার বন্ধু। আমাকে সবসময় গাইড করে এসেছে। মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে। আইপিএলে ও আমার ক্যাপ্টেন। আরসিবিতে থাকার সময়ই বুঝতে পেরেছিলাম ক্যাপ্টেন হিসেবে ও ঠিক কি চাইছে। যতটা সম্ভব বিরাটের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করে এসেছি। যে রকম ফিল্ডিং চেয়েছি বিরাটের কাছে পেয়েছি। এতেই বোঝা যায় আমার উপর ওর কতটা আস্থা।

প্রশ্ন: ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে আপনার স্ট্র্যাটেজি কী ছিল? আইপিএলের অভিজ্ঞতা কি এ ক্ষেত্রে কাজে এসেছে?

চহল: আইপিএলের অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই কাজে এসেছে। ঠিক কী রকম ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে আমায় বোলিং করতে হবে সেটা মেপে নিয়ে নেটে প্র্যাকটিস করেছি। বলের গতি পরিবর্তন আর বৈচিত্রের উপর জোর দিয়েছিলাম। তা ছাড়া আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে বল করার অভিজ্ঞতা তো ছিলই। আগে বহুবার সামলেছি বলে নতুন বলে বোলিং করতেও সমস্যা হয় না। ক্রিজে কে ব্যাট করছে সেটা মাথায় না রাখাটা সবচেয়ে জরুরি। ম্যাচ সিচুয়েশন অনুযায়ী আমি বল করে যাই। মার খেলেও ফ্লাইট দিতে ভয় পাই না।

প্রশ্ন: মাত্র দু’জন বোলার টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ছ’উইকেট পেয়েছেন। আপনি তার এক জন। ব্যাপারটার গুরুত্ব কি বুঝতে পেরেছেন?

চহল: আস্তে আস্তে পারছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২-৩ উইকেট পাওয়াটাই বিরাট ব্যাপার। কারণ এই ফর্ম্যাটে ব্যাটসম্যানকে আক্রমণ করার সুযোগ বেশি আসে না। পাঁচ উইকেট তো স্বপ্ন। ছ’উইকেট নিয়ে তাই অবিশ্বাস্য লাগছিল। ভাবিইনি কখনও এটা। ম্যাচটার কথা ভাবলে এখন খুব উপভোগ করি। সবচেয়ে ভাল লাগে এটা দেখে যে আমি দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন