গেল গেল রবটা মাত্র মাসদেড়েক আগে বিশ্বকাপের সময়েই উঠেছিল। যখন প্রায় সত্তর শতাংশ ম্যাচে একশো ওভারে ছ’শো-সাড়ে ছ’শো রান উঠছিল, প্রায়শই মাঝারিমানের দলগুলোও পঞ্চাশ ওভারে ২৮০-৩০০ পৌঁছে যাচ্ছিল। এভিযোগ উঠছিল, ওয়ান ডে-টা বড্ড বেশি বোলার-বিরুদ্ধ আর ব্যাটসম্যান-সখ্য হয়ে পড়েছে। সোমবার বোঝা গেল, আইসিসি-রও মগজে ব্যাপারটা টনক নড়িয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার টেকনিক্যাল কমিটি, যার সরকারি নাম আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। এই মুহূর্তে যার চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে, তারা চিফ এক্সিকিউটিভ কমিটির কাছে যে সমস্ত পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠালেন—
১) ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারে ক্যাচিং পজিশনে অন্তত দু’জন বাধ্যতামূলক ফিল্ডার রাখার নিয়ম অবলুপ্ত করা হোক। তাতে ফিল্ডিং টিমের অধিনায়কের পক্ষে ওই সময়েও কিছুটা বাড়তি ডিফেন্সিভ ফিল্ড প্লেসিং সম্ভব হবে, ওই দুই ফিল্ডারকে রান আটকানোর পজিশনে দাঁড় করিয়ে।
২) ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে-ই তুলে দেওয়া হোক ওয়ান ডে ম্যাচ থেকে। যাতে ব্যাটিং দলের ইচ্ছে মতো ম্যাচের ওই বিশেষ পাঁচ ওভারের সময় (১১ থেকে ৪০ ওভারের ভেতর) তিরিশ গজ বৃত্তের বাইরে মাত্র তিন জন ফিল্ডারের বেশি না রাখার প্রয়োজন পড়ে। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের সময় যেটা বাধ্যতামূলক ছিল। এখন আর থাকবে না। ফলে ফিল্ডিং দলের পক্ষে আরও একটি বেশি সুযোগ থাকবে ডিফেন্সিভ ফিল্ডিং সাজানোর।
৩) শেষ ১০ ওভারে সার্কেলের বাইরে ৪ জনের বদলে ৫ জন ফিল্ডার রাখা যাবে। যার মানে প্রথম ১০ ওভারে সার্কেলের বাইরে দু’জন, ১১-৪০ ওভার সার্কেলের বাইরে চার জন আর ৪১-৫০ ওভার সার্কেলের বাইরে পাঁচ জন ফিল্ডার রাখা যাবে। অর্থাৎ, ডেথ ওভার্সে এখন থেকে ফিল্ডিং দলের ক্যাপ্টেনের পক্ষে এখনকার থেকে আরও একটু বেশি সুবিধে থাকবে বাউন্ডারি আটকানোর।