Sports News

জামিন পেলেন আরাফত সানি

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি। বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম বুধবার দুপুরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে জামিনের এ আদেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ২১:৪২
Share:

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি। বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম বুধবার দুপুরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে জামিনের এ আদেশ দেন। এখন সানির মুক্তি পেতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ।

Advertisement

আরাফাত সানিকে আদালতে হাজির করা হয় এবং বাদী নাসরিন সুলতানাও হাজির ছিলেন।

গত ৯ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় এক মাসের জামিন পান আরাফাত সানি। তবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি আরাফাত সানি। বুধবার এ মামলায় জামিন পাওয়ায় সানির কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানান তার আইনজীবী।

Advertisement

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আরাফাত সানির জামিন নাকচ করে দেন একই আদালত।

আরও খবর: শততম টেস্টে ভাল শুরু বাংলাদেশের

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে পরিচয়ের সূত্রে আরাফাত সানির সঙ্গে নাসরিন সুলতানার ঘনিষ্ঠতা হয়। অভিভাবককে না জানিয়ে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসরিন সুলতানা বিভিন্ন সময়ে বিয়ের বিষয়টি অভিভাবকদের জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে ঘরে তুলে নেওয়ার জন্য আরাফাত সানিকে তাগিদ দেন। কিন্তু আরাফাত সানি তার কথা না শুনে ভয়ভীতি দেখান। গত বছর ১২ জুন রাতে আরাফাত সানি নাসরিন সুলতানার নাম এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ওই আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল আইডিতে অন্তরঙ্গ অশ্লীল ছবি পাঠান। এ ছাড়া নানা রকম হুমকি দিতে থাকেন।

এ ঘটনায় নাসরিন সুলতানা ৫ জানুয়ারি আরাফাত সানির বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ২২ জানুয়ারি আরাফাত সানিকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন তার একদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ জানুয়ারি রিমান্ড শেষে আরাফাত সানিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে কারাগারেই আছেন আরাফাত সানি।

এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ড চলাকালে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে ২৩ জানুয়ারি যৌতুক আইনের ৪ ধারায় আরেকটি মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই মামলায় আরাফাত সানিকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন আদালত।

এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম রেজানুর রহমানের আদালতে আরো একটি মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মাদপুর থানাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন