ডেভিস কাপ হাতে দেল পোত্রোরা। ছবি: এএফপি
ডাবলসে হেরে দ্বিতীয় দিনের শেষে ১-২ ম্যাচে পিছিয়ে। শেষ দিন রিভার্স সিঙ্গলসের প্রথম ম্যাচে ০-২ সেটে পিছিয়ে। ফাইনালে হার অবধারিত। এ রকম একটা প্রবল কঠিন পরিস্থিতি থেকে প্রায় অলৌকিক ভাবে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-২ ম্যাচে হারিয়ে ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন হল আর্জেন্তিনা। মারাদোনা-মেসির দেশ এই প্রথম বার ডেভিস কাপ জিতল। যার অন্য নাম ‘ওয়ার্ল্ড কাপ অফ টেনিস’!
গত রাতে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ছয় নম্বর মারিন চিলিচের বিরুদ্ধে প্রথম দু’টো সেট ৬-৭ (৪-৭), ২-৬ হেরে গিয়েও অ্যাওয়ে ম্যাচে (ফাইনাল হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার ইন্ডোর হার্ডকোর্টে) পরের তিনটে সেট দেল পোত্রো ৭-৫, ৬-৪, ৬-৩ জিতে ফাইনালের স্কোরলাইন ২-২ করেন। যার পরে চূড়ান্ত ম্যাচে সাঁইত্রিশ বছরের ইভো কার্লোভিচকে স্ট্রেট গেমে ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ উড়িয়ে দেন বিশ্বের ৪১ নম্বর ফেদেরিকো দেলবোনিস।
টাইয়ের আগে কার্লোভিচের সবচেয়ে বয়স্ক ডেভিস কাপ ফাইনালিস্ট প্লেয়ার হওয়া নিয়ে হইচই হয়েছিল। ফাইনালের পরে কিন্তু তাঁর বয়সকেই ক্রোয়েশিয়ার অভাবনীয় হারের মুখ্য কারণ হিসেবে দেখছেন অনেক টেনিস বিশেষজ্ঞ। কার্লোভিচ দু’টো সিঙ্গলসই হারেন। সব মিলিয়ে মাত্র একটা সেট নিতে পেরে। পাশাপাশি দেলবোনিস কাপ এনে দিলেও আর্জেন্তিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে আসল ফ্যাক্টর দেল পোত্রো। প্রাক্তন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন গত দু’বছর নানা চোট আর একাধিক অস্ত্রোপচারের পরে এ মরসুমেই পেশাদার ট্যুরে ফিরেছেন। এবং ফিরেই রিও অলিম্পিক্সে রুপো জেতার পর দেশকে প্রথম বার ডেভিস কাপও দিলেন। ফাইনালে তিন দিনই শুধু খেলেননি দেল পোত্রো। প্রথম দিন দ্বিতীয় সিঙ্গলস খেলার পরের দিন ডাবলস এবং শেষ দিন প্রথম রিভার্স সিঙ্গলস খেলার ভয়ঙ্কর ধকল সামলে তিনটের মধ্যে দু’টো ম্যাচ জেতেন। শেষ দিন আবার পাঁচ সেটের ওই ম্যারাথন লড়াই!
যার পরে তিনি স্বভাবতই বলছেন, ‘‘আমরা হৃদয় দিয়ে খেলেছি। আর নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। তবু এই জয় অভাবনীয়!’’