বল হাতে দীর্ঘদিন বাংলাকে ম্যাচ জিতিয়ে ও বাঁচিয়ে এসেছেন তিনি। এ বার ব্যাট হাতেও সেই কাজ করতে শুরু করে দিলেন অশোক ডিন্ডা। বৃহস্পতিবার ২৮ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে ৩৫০ রানের গণ্ডী পেরোতে সাহায্য করেন বাংলার পেসার। ডিন্ডার পাশাপাশি ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন আমির গনিও। ৯২ বলে তিনি করেন ৪৭ রান। তাঁদের প্রয়াসেই ৩৮০ রানে পৌঁছয় বাংলা। জবাবে ১২৪ রানে তিন উইকেট হারিয়েছে হিমাচল প্রদেশ। বিপক্ষের প্রথম দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে ডিন্ডাই হয়ে ওঠেন দিনের নায়ক।
প্রথম দিনের শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান করেছিল বাংলা। যা দেখে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি জানিয়ে ছিলেন, দ্বিতীয় দিন দু’টি ভাল জুটিই ৩৫০ রানের গণ্ডী পার করে দিতে পারে তাঁদের। শুক্রবার সেটাই হল। ব্যাট হাতে যাঁর উপর কখনওই নির্ভর করা হয়নি, সেই ডিন্ডাই এগিয়ে এলেন বাংলার প্রয়োজনে। গনির সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়ে লড়াকু স্কোরে পৌঁছে দিলেন বাংলাকে। দিনের শেষে বাংলার তারকা পেসার বলেন, ‘‘ব্যাট হাতেও বাংলাকে সাহায্য করতে পেরে ভাল লাগছে।’’ কিন্তু ম্যাচের ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে তা এখনও বলতে পারছেন না ডিন্ডা। তাঁর কথায়, ‘‘দু’দলের কাছেই এখন সমান সুযোগ রয়েছে। শনিবার যত দ্রুত সম্ভব বাকি সাতটি উইকেট তুলতে হবে।’’ দলের কাছে ঠিক এই লড়াইটাই দেখতে চেয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক। শুক্রবার আমতার থেকে ফোনে মনোজ বলেন, ‘‘ছেলেদের থেকে এই পারফরম্যান্সই দেখতে চেয়েছিলাম। ডিন্ডার কথা তো বলতেই হবে। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখাল ও।’’
শুক্রবার ৪০ রানের মধ্যেই প্রশান্ত চোপড়া (৯) ও প্রিয়াংশু খাণ্ডুরি (১৫)-কে ফিরিয়ে দেন ডিন্ডা। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন অঙ্কুশ বেইন্স ও নিখীল গাংটা। ৮৩ রানের জুটি গড়ার পরে গনির বলে ফিরতে হয় নিখীলকে। ১২৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পরে আলো কমে আসায় আর মাত্র এক রান বোর্ডে জুড়তে পেরেছে হিমাচল প্রদেশ। দিনের শেষে ৭৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন অঙ্কুশ।
মনোজ মনে করেন, ব্যাটিং উইকেটে বিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য প্রয়োজন শৃঙ্খলা। তৃতীয় দিন সেটাই দেখতে চান ছেলেদের মধ্যে। মনোজের কথায়, ‘‘ছেলেদের ক্ষমতা রয়েছে বলেই ওদের উপর ভরসা করি। তৃতীয় দিন ভাল জায়গায় বল করতে পারলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুযোগ থাকবে আমাদের।’’
দুরন্ত অক্ষদীপ: রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ ‘সি’-র ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিন ১৫৫ রানে অপরাজিত উত্তর প্রদেশের অক্ষদীপ নাথ। ১৩টি চার ও একটি ছয়ের সৌজন্যে এই ইনিংস গড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে ৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন প্রিয়ম গর্গ। দিনের শেষে তিন উইকেটের বিনিময়ে ৪৭৩ রান উত্তর প্রদেশের। ম্যাচের প্রথম দিনেই ১৫২ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল গোয়া। চার উইকেট নিয়ে বিপক্ষের ইনিংস ভাঙতে সাহায্যে করেন শিবম মাভি।
সচিনের সেঞ্চুরি: রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ ‘বি’-র ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেট হারিয়ে ৪৯৫ রানে ডিক্লেয়ার করল কেরল। নেপথ্যে সচিন বেবির ১৪৭ রানের ইনিংস। ১০টি চার ও তিনটি ছয়ের সৌজন্যে এই ইনিংস গড়েন কেরলের অধিনায়ক। সচিনের পাশাপাশি অপরাজিত ১১৩ রান করেন ভিএ জগদীশ। ৫৩ রান করেন সঞ্জু স্যামসনও। জবাবে সবে ইনিংস শুরু করেছে হায়দরাবাদ।
লড়াকু ইনিংস শিবমের: রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ১১৪ রান করলেন মুম্বইয়ের শিবম দুবে। অথচ প্রথম দিন ৮০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন সিদ্দেশ লাড। দ্বিতীয় দিন ৯৯ রান করে ফিরে যেতে হল তাঁকে।