দেরি করে মাঠে এসে বিতর্কে ডিন্ডা

অধিনায়ক শুভময় দাস ৫২ রান করে সোমবার মোহনবাগানকে লড়াইয়ের জায়গায় রাখলেও বাকিদের ব্যাট থেকে রান এল না। তার ওপর আবার সিএবি প্রথম ডিভিশনের লিগের মতো সুপার লিগের ম্যাচেও বিধ্বংসী বোলিং করলেন বি অমিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০৪:১১
Share:

স্থানীয় ক্রিকেট ডার্বিতে বিতর্কের কেন্দ্রে অশোক ডিন্ডা।

Advertisement

সিএবি সুপার লিগের ক্রিকেট ডার্বি জমিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় ইনিংসে মোহনবাগান ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে।

অধিনায়ক শুভময় দাস ৫২ রান করে সোমবার মোহনবাগানকে লড়াইয়ের জায়গায় রাখলেও বাকিদের ব্যাট থেকে রান এল না। তার ওপর আবার সিএবি প্রথম ডিভিশনের লিগের মতো সুপার লিগের ম্যাচেও বিধ্বংসী বোলিং করলেন বি অমিত। চার উইকেট তুলে ম্যাচের ছবি পাল্টে দেন অমিত। তাঁর শিকার ঋদ্ধিমান সাহা (৩), সায়নশেখর মণ্ডলের (১) মতো ব্যাটসম্যান। ১১৮-৮ রানে শেষ হয় সবুজ মেরুনের দ্বিতীয় ইনিংস।

Advertisement

আঙুলে চোট থাকায় ব্যাট করতে পারেননি অনুষ্টুপ মজুমদার। কিন্তু ডিন্ডাকে নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। দেরি করে মাঠে আসায় ব্যাট করতে পারেননি এই ফাস্ট বোলার। ফলে ১১৮ রানেই ইনিংস শেষ করতে বাধ্য হয়ে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের সামনে ২৯২ রানের টার্গেট দিয়ে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ইস্টবেঙ্গল ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭১। ফলে এখন পরিস্থিতি যা, তাতে জিততে হলে শেষ দিনে আর ১২১ রান তুলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।

এই অবস্থায় বিতর্ক উঠেছে ডিন্ডা-কে নিয়ে। সময় মতো মাঠে পৌঁছতে না পারায় স্বভাবতই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে মোহনবাগান শিবিরে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মোহনবাগান অধিনায়ক শুভময় দাস জানিয়ে দিলেন, তিনি এই নিয়ে ডিন্ডার সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন দেরি করে এসেছেন ডিন্ডা, সেটা জানতে চেয়েছেন। ‘‘অবশ্যই এত লো স্কোরিং ম্যাচে কারও ব্যাট থেকে ১৫-১৬ রান আসাটাও তো অনেক। ডিন্ডার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। জানি না শেষ দিনে এটা কতটা প্রভাব ফেলবে।’’ মোহনবাগানের উপস্থিত কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ডিন্ডা-কে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজেও এড়িয়ে যান।

আরও পড়ুন: কোচের যাত্রা নিয়ে ধন্দে থাকল দলই

প্রথম ইনিংসে ডিন্ডা ২৪ রান করেছিলেন। যে প্রসঙ্গ তুলে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক অর্ণব নন্দী বলছেন, ‘‘ডিন্ডার ব্যাট না করাটা অবশ্যই আমাদের কাজে এসেছে। প্রথম ইনিংসে ভালই ব্যাট করেছিল ডিন্ডা। এ বারও ব্যাট করলে হয়তো আরও বেশি রানের টার্গেট হতেই পারত।’’ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল ইনিংস একটু হোঁচট খায়। মাত্র ৯২ রানেই ৪ উইকেট হারায় ইস্টবেঙ্গল। বিবেক সিংহ (২৪), প্রসেনজিৎ দাস (১১), শমীক কর্মকার (৩), সোহম ঘোষের (২৪) মতো ব্যাটসম্যানরা আউট হন। ডিন্ডা ও সায়ন শেখর মণ্ডল একটি করে উইকেট তোলেন। কিন্তু কৌশিক ঘোষ (৬৬) আর শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (২৬) পার্টনারশিপ লড়াইয়ে রেখেছে ইস্টবেঙ্গলকে। শুভময় বলছেন, ‘‘দিনের শুরুতে আমাদের উইকেট তুলতে হবে। এখনও ইস্টবেঙ্গলের অনেক রান বাকি।’’ খারাপ আলোর জন্য আবার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে ম্যাচ বন্ধ হয়।

ডিন্ডা ছাড়াও ঋদ্ধিমানের এলবিডব্লিউ নিয়েও দেখা দেয় বিতর্ক। জানা গেল, ড্রেসিংরুমে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঋদ্ধিমান। আউট প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও ম্যাচ নিয়ে ঋদ্ধিমান বলছেন, ‘‘এখনও যা কিছু হতে পারে। ইস্টবেঙ্গল প্রথম ইনিংসেও দ্রুত উইকেট হারিয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন