পরীক্ষা: লেগস্পিন করার চেষ্টা অশ্বিনের। ইরানিতে। ছবি: বিসিসিআই
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা না হওয়ায় বছরের শুরুতে তিনি বলেন, এ বার তাঁর অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ইরানি কাপে হঠাৎ করে ডাক পেয়ে যাওয়ায় সেই নতুন অস্ত্র দেখানোর সুযোগ এসে যায় আর অশ্বিনের সামনে। নতুন সেই অস্ত্রই তিনি দেখালেন ইরানি কাপের প্রথম দিনই। অফ স্পিনের পাশাপাশি এ বার লেগ স্পিনও বেরচ্ছে এই তামিল তারকা স্পিনারের হাত থেকে।
কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহালরা এখন ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টির দলে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজাদের টেস্ট ছাড়া ঠাঁই নেই দলে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও যাতে নিজেকে আরও কার্যকরী করে তুলতে পারেন, তাই এ বার থেকে লেগ স্পিনটাও করা শুরু করে দিলেন অশ্বিন। ব্যাটসম্যানরা যাতে তাঁকে নিয়ে আরও বেশি ধন্দে পড়েন, সে জন্যই তাঁর এই পদক্ষেপ।
বুধবার ইরানি কাপের প্রথম দিনই অশ্বিনকে লেগস্পিন করতে দেখা গেল। অশ্বিনের এই লেগস্পিন করার ভিডিও আবার বোর্ডের ওয়েবসাইটে পোস্টও করা হল। যদিও নতুন অস্ত্র চালিয়ে বড় সাফল্য পাননি এই টেস্ট স্পিনার। ২৫ ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়ে একটি উইকেট পান তিনি। আউট করেন রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভের ওপেনার ও অধিনায়ক ফৈজ ফজলকে (৮৯)। ওয়াসিম জাফরের (১১৩ ব্যাটিং) সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ফজল ও অপর ওপেনার সঞ্জয় রামস্বামীর (৫৩) সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের জেরে দিনের শেষে বিদর্ভ ২৮৯-২।
অশ্বিনের লেগস্পিন অবশ্য বিপক্ষকে খুব একটা চাপে ফেলতে পারেননি। যদিও উইকেটে স্পিনারদের সাহায্য করার মতো তেমন কিছু ছিল না। অশ্বিনের লেগস্পিনে তেমন ঘূর্ণি দেখা যায়নি। যে বলগুলোয় ফ্লাইট দেন তিনি, সেগুলোও ব্যাটসম্যানদের উড়িয়ে দিতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে এ দিন নির্বিষই ছিল অশ্বিনের বোলিং। এমনকী, তাঁর চিরাচরিত অফস্পিনও ব্যাটসম্যানদের ঝামেলায় ফেলতে পারেনি তেমন।
তবে আসন্ন আইপিএলে তাঁর এই নতুন অস্ত্রকে কাজে লাগাতে চান তিনি। ব্যাটসম্যানদের কাছে আরও বড় ধাঁধা হয়ে উঠতে চান। মঙ্গলবারই কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের জার্সি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘লেগস্পিনটা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। পরের বলে আমি কী করতে চলেছি, ব্যাটসম্যান তা বুঝতে পারবে না। যতটা অনিশ্চয়তা তৈরি করা যায়, ততটাই করার চেষ্টা থাকবে আমার।’’ কিংগস ইলেভেনের অধিনায়ক হিসেবেও তিনি বিপক্ষকে নানাভাবে চমক দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান অশ্বিন।