নায়ক: অপরাজিত ৫৭ রান করার পরে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা রশিদ খান। বৃহস্পতিবার। ছবি: এএফপি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ। যারা নিজেদের দেশে হোম ম্যাচও খেলতে পারে না। খেলতে হয় ভারতে এসে। সেই আফগানিস্তানই এ বার এশিয়া কাপের সেরা চমক হয়ে উঠল। সোমবার শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পরে এ বার এশিয়ার ক্রিকেটের অন্যতম সেরা শক্তি হয়ে ওঠা বাংলাদেশকেও ১৩৬ রানে চূর্ণ করল তারা। এই জয়ে সুপার ফোরে লড়াইয়ের আগে বাড়তি মনোবল পেয়ে গেল আফগানিস্তান।
বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঝলসে ওঠেন আফগানিস্তানের সেরা তারকা রশিদ খান। ৩২ বলে ৫৭ রান করার পরে বোলিংয়েও বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। ১৩ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন তিনি। রশিদ-ঝড়েই আক্রান্ত হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন মাশরফি মর্তুজা, শাকিব-আল-হাসানরা। আবু ধাবিতে ১৬০ রানে সাত উইকেট চলে যায় আফগানিস্তানের। কিন্তু শেষ দশ ওভারে রশিদ খান ও গুলবাদিন নাইবের ঝোড়ো ব্যাটিং বাংলাদেশ বোলিংকে দাঁত ফোটাতে দেয়নি। ১৬০-৭ থেকে দলের রান ২৫৫-তে পৌঁছে দেন রশিদ ও নাইব। তাঁরা দু’জনে যোগ করেন ৯৫ রান। গুলবাদিন অপরাজিত ৪২ রানে।
কুড়িতম জন্মদিনে ঝোড়ো অর্ধশতকে রশিদ মারেন আটটি চার ও একটি ছয়। শেষ ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরফি মর্তুজা এক ওভারে ১৯ রান নেন তিনি। রুবেল হোসেনকেও মেরে এক ওভারে ১৭ রান তোলেন তিনি। শেষ দশ ওভারে ৯৮ রান দেয় বাংলাদেশ। এখান থেকেই ম্যাচের রাশ চলে যায় রশিদ খানদের কাছে। বল হাতেও এ দিন দাপট দেখান রশিদ। মাত্র ১৩ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন তিনি। তাঁর সতীর্থ বোলার মুজিব উর রহমান ও নাইবও দু’টি করে উইকেট নিয়ে শাকিবদের ১১৯ রানে শেষ করে দেন।