প্রতীকী চিত্র।
কর্পোরেট সংস্থায় পেশাগত উন্নতির জন্য অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় মাস্টার অফ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) ডিগ্রির। শুধু পদমর্যাদা নয়, অনেক ক্ষেত্রে বেতনের অঙ্কও নির্ভর করে এই ডিগ্রির উপর।
বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় এমবিএ কোর্স। পড়ুয়ারা ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরতরাও কেরিয়ারে উন্নতির জন্য এই কোর্স করেন। স্নাতক যোগ্যতা থাকলেই এমবিএ করা যায়। তবে দেশের নামী বিজ়নেস স্কুলগুলিতে এমবিএ-তে ভর্তির জন্য দিতে হয় প্রবেশিকা পরীক্ষা। যার মধ্যে কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্যাট) অতিপরিচিত। দেশের ২২টি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর তরফে প্রতি বছর ক্যাট-এর আয়োজন করা হয়। ক্যাট-এ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই এর পর আইআইএম থেকে এমবিএ-র সুযোগ পাওয়া যায়।
তবে ক্যাট-এর বিকল্প কী কী?
এমবিএ করার জন্য আর কোন প্রবেশিকা দিতে পারেন আগ্রহীরা?
এ ক্ষেত্রে প্রথমেই সিম্যাট এবং ম্যাট পরীক্ষার উল্লেখ করতে হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ‘টায়ার ২’-এর নানা বেসরকারি এমবিএ কলেজে ভর্তির সুযোগ মেলে।
২) সিম্যাট (কমন ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট)-এর আয়োজন করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। সাধারণত প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। সিম্যাট-এ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে দেশে ১০০০-এর বেশি এআইসিটিই স্বীকৃত কলেজ থেকে এমবিএ করার সুযোগ মেলে।
৩) ম্যাট (ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট)-এর আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইমা)। বছরে চার বার এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। ম্যাট-এ প্রাপ্ত নম্বরের মাধ্যমে ১,৪০০-এর বেশি কলেজ থেকে এমবিএ করতে পারেন আগ্রহীরা।
৪) নার্সি মঞ্জি ম্যানেজনেন্ট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (এনম্যাট)-এর আয়োজন করে গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন কাউন্সিল (জিম্যাক)। জাতীয় স্তরের এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে দেশের নানা প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিএ-র সুযোগ মেলে।
৫) এইমস টেস্ট ফর ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশনস (আটমা)-র আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট স্কুলস। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকে এমবিএ-তে ভর্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয় দেশের ৭০০-র বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জাতীয় স্তরের এই পরীক্ষাগুলি ছাড়া বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের তরফেও প্রবেশিকার আয়োজন করা হয়। যেমন —
৬) জামশেদপুরের জেভিয়ার স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট প্রতি বছর জ্যাট (জেভিয়ার অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট)-এর আয়োজন করে। তবে জ্যাট-এ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিএ করা যায়, এমনটা নয়। জ্যাট-এ প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্ব দিয়ে দেশে ৮০০-র বেশি কলেজে এমবিএ-তে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়।
৭) সিমবায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তরফে আয়োজন করা হয় সিমবায়োসিস ন্যাশনাল অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (স্ন্যাপ)-এর। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় দেশে সিমবায়োসিসের সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিএ করার জন্য। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
৮) ইকফাই বিজ়নেস স্টাডিজ় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (ইবস্যাট)-এর আয়োজন করে ইকফাই ফাউন্ডেশন ফর হায়ার এডুকেশন। দেশের ইকফাই-এর সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকেই এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এমবিএ করা যায়।
এ ছাড়া রাজ্য স্তরেও এমবিএ পড়ার জন্য একাধিক প্রবেশিকার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র কমন এন্ট্রান্স টেস্ট, তামিল নাড়ু কমন এন্ট্রান্স টেস্ট, কর্নাটক ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কমন এন্ট্রান্স টেস্ট, অন্ধ্রপ্রদেশ ইন্টিগ্রেটেড কমন এন্ট্রান্স টেস্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।