সোনা জেতার পর বিনেশ ফোগত। ছবি: পিটিআই।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম। ম্যাটে ঘাম ঝরানো। যাবতীয় সাধনার দাম এশিয়ান গেমসের সোনার পদক। টুইট করে জানালেন কুস্তিতে মহিলাদের ৫০ কেজি বিভাগে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করা বিনেশ ফোগত।
হরিয়ানার বিখ্যাত ফোগত পরিবারের মেয়ে তিনি। কাকা মহাবীর ফোগতের কাছে শুরু কুস্তির হাতেখড়ি। সেখান থেকে এশিয়াডের সোনার স্টেশনে পৌঁছনোর রাস্তা খুব সহজ ছিল না। চোট-আঘাত বারবার আটকে দাঁড়িয়েছে রাস্তা। দমে যাননি বিনেশ। মনের জোরে, নিজের ওপর বিশ্বাসে অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণের রাস্তা ঠিক খুঁজে নিয়েছেন।
এর আগে ভারতের কোনও মহিলা এশিয়ান গেমসে কুস্তিতে সোনা জিততে পারেননি। দুই বছর আগে রিও অলিম্পিকে লড়তে লড়তেই চোট পেয়ে স্ট্রেচারে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল। চার মাস থাকতে হয়েছিল বাইরে। এই ১২০ দিনকে জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিন বলে চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। দুঃস্বপ্নের সেই দিনগুলো এখন অতীত। সোনার জন্য কতটা উদগ্রীব ছিলেন, তা সোনা জেতার পরের মন্তব্যেই পরিষ্কার। সোনা জিতবেনই, বিশ্বাস ছিল তীব্র। জিতেওছেন তা। তাঁর জীবন যেন এক টুকরো রূপকথাই হয়ে উঠেছে।
আসলে ছোট থেকেই তীব্র পরিশ্রম সঙ্গী হয়েছে ফোগত বোনদের। আমির খানের দঙ্গল সিনেমার চেয়ে ‘হানিকারক বাপু’ মহাবীর ফোগত বাস্তবে অন্তত দশ গুণ বেশি কড়া ছিলেন বলে কয়েক বছর আগে জানিয়েছিলেন তিনি। সকালে চলত শরীরচর্চা। বিকেলে ম্যাটে চলত কুস্তির প্রশিক্ষণ। সেই দিনগুলো ভোলেননি বিনেশ।
শনিবারই জন্মদিন তাঁর। সোনার মেয়ে তার আগে সেরা উপহার পেয়ে গেলেন। লেখা উচিত, নিজেকেই জন্মদিনের উপহার দিলেন বিনেশ।
আরও পড়ুন: নিখুঁত নিশানায় লক্ষ্যভেদ, এশিয়াডে তৃতীয় সোনা ষোল বছরের সৌরভের
আরও পড়ুন: হকিতে ১৭ গোল দিয়ে শুরু, জোড়া রুপো শুটিংয়ে
(অলিম্পিক্স, এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস হোক কিংবা ফুটবল বিশ্বকাপ, ক্রিকেট বিশ্বকাপ - বিশ্ব ক্রীড়ার মেগা ইভেন্টের সব খবর আমাদের খেলা বিভাগে।)