খারাপ ফলের জন্য আঙুল টেডি শেরিংহ্যামের দিকে।
টেডি শেরিংহ্যাম বনাম অ্যাশলে ওয়েস্টউড দ্বৈরথে সম্ভবত জিততে চলেছেন বেঙ্গালুরু এফসি-তে সুনীল ছেত্রীদের প্রাক্তন কোচই! অঘটন না ঘটলে বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে শেরিংহ্যামকে। আর নতুন কোচ হিসেবে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অ্যাশলে ওয়েস্টউডেরই যুবভারতীর রিজার্ভ বেঞ্চে বসার সম্ভাবনা কার্যত নিশ্চিত।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এ দু’বারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে। অথচ এই মরসুমে শেষ চারে যোগ্যতা অর্জন করাই কঠিন হয়ে পড়েছে রবি কিন-দের। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের আট নম্বরে এটিকে। এখনও পর্যন্ত জিতেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। হার চারটি ম্যাচে। ড্র করেছে দু’টি ম্যাচ। তা সত্ত্বেও শেরিংহ্যামের উপরেই আস্থা রেখেছিলেন এটিকে কর্তারা। কিন্তু গত শনিবার এফসি পুণে সিটি-র বিরুদ্ধে ০-৩ বিধ্বস্ত হওয়ার পরেই ধৈর্য হারিয়েছেন এটিকে কর্তারা। সূত্রের খবর, সোমবার সরস্বতী পুজোর দিনই নিশ্চিত হয়ে যায় প্র্যাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা শেরিংহ্যামের বিসর্জন। যদিও এটিকে কর্তারা এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রঘু আইয়ারকে ফোন করা সত্ত্বেও তিনি ধরেননি। বেজে গিয়েছে এটিকের অন্যতম অংশীদার উৎসব পারেখের ফোনও।
এই মরসুমে আইএসএলের শুরু থেকেই এটিকে অন্দরমহলে ঢুকে পড়েছিল অশান্তির কালো মেঘ। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই চোটের চিকিৎসা করাতে আয়ারল্যান্ড ফিরে যান প্রধান স্ট্রাইকার রবি কিন। তার পর প্রকাশ্যে চলে আসে শেরিংহ্যাম বনাম ওয়েস্টউড বিবাদ। বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রাক্তন কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি শেরিংহ্যামের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে দলের মধ্যেই বারবার প্রশ্ন তুলছেন। আলেক্স ফার্গুসনের প্রাক্তন ছাত্র আবার ক্ষোভ উগরে দেন ওয়েস্টউডের ভারতীয় ফুটবলার নির্বাচন নিয়ে।
কোচ ও টিডির তিক্ততা এতটাই তীব্র আকার নিয়েছিল, দলের সঙ্গে সফর করাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওয়েস্টউড। এখানেই শেষ নয়। ক্ষুব্ধ টিডি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দুবাই চলে যান। ফেরেন গত ১৭ ডিসেম্বর মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচের দিনই। যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে, কোচ ও টিডি-র মধ্যে কোনও সংঘাত নেই।