যুবভারতীর বিকল্প কী হবে?
এই মুহূর্তে হন্যে হয়ে সেটাই খুঁজে বেড়াচ্ছেন আটলেটিকো দে কলকাতার কর্তারা!
বুধবার বিকেলে মোহনবাগান মাঠে এসেছিল আটলেটিকো কলকাতার প্রতিনিধি দল। তারা মাঠ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়ে জমা দিয়েছেন আটলেটিকোর প্রধান কর্তাদের কাছে। এর পর বারাসত এবং হাওড়া স্টেডিয়ামও দেখতে যাওয়ার কথা তাঁদের। মোহনবাগানের মাঠ ভাল, কিন্তু ড্রেসিংরুম বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধে নেই। বারাসতের অবস্থা শোচনীয়। হাওড়া স্টেডিয়ামে তো কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের বড় টিমের ম্যাচই করা যায় না। তা হলে উপায় কী?
আটলেটিকো কর্তারা অবশ্য আশায় রয়েছেন, যুবভারতী হয়তো তাঁরা পেয়ে যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে বিকল্প মাঠ খুঁজে রাখতে চাইছেন তাঁরা। মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত এ দিন দাবি করেন, ‘‘ড্রেসিংরুমের করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর অনুমতি নেওয়া আছে। আটলেটিকো চাইলে ড্রেসিংরুম করে নিতেই পারে।’’ তবে সূত্রের খবর, মোহনবাগানে যে পরিমাণ কাজ বাকি রয়েছে, সেটা এত কম সময়ে সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন আটলেটিকোর কর্তারা। বারাসতকেই বরং তাঁরা এগিয়ে রাখছেন।
পরের সপ্তাহে আইএসএলের কর্তাদের কলকাতায় মাঠ পরিদর্শনে আসার কথা। তাঁদের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে, হিউম-অর্ণব-প্রীতমরা শেষ পর্যন্ত কলকাতাতেই খেলবেন কি না!
ফুটবলের শহরে যুবভারতী ছাড়া এমন কোনও স্টেডিয়াম নেই, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের ম্যাচ করা সম্ভব!
ফেডারেশনের বৈঠক: আইএসএল এবং আইলিগকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তার সমাধান সূত্র কী ২৮ জুলাই পাওয়া যাবে?
ওই দিন ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির বৈঠক রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই সভায় মূল এজেন্ডা হবে দু’টি— ১) এ বারের আই লিগ নিয়ে আলোচনা। যেখানে সালগাওকর এবং স্পোর্টিংয়ের আই লিগ না খেলার বিষয়টি নিয়েও কথা হবে। ২) পরের বার আইএসএলকে দেশের প্রধান টুর্নামেন্ট করে, আই লিগকে দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট করা কী ভাবে করা সম্ভব, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা এই সভায়। আসলে আই লিগকে আইএসএলের পরে ঠেলে দেওয়া নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। গোয়ার দুই আই লিগ টিম— সালগাওকর এবং স্পোর্টিং যেমন সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। তাদের আইএসএলে সরাসরি খেলতে না দেওয়া হলে এ বারের আই লিগে তারা অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।