স্মিথের স্বপ্নে এখন হোয়াইটওয়াশ।
যা প্রত্যাশিত ছিল, সেটাই ঘটল। সোমবার পার্থ টেস্টের শেষ দিনে সহজেই ইংল্যান্ড ইনিংসকে ২১৮ রানে থামিয়ে দিয়ে অ্যাশেজ জিতে নিল স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিন যদি স্বপ্নের বল করে নায়ক হয়ে থাকেন মিচেল স্টার্ক, তা হলে শেষ দিনে শিরোনামে একজনই। জস হেজেলউড। পাঁচ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার একাই শেষ করে দিলেন ইংল্যান্ডের লড়াই। এক ইনিংস এবং ৪১ রানে জিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ৩-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে হেজেলউড পেলেন ৪৮ রানে পাঁচ উইকেট।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম অ্যাশেজ সিরিজ জিতে স্মিথ এখন স্বপ্ন দেখছেন হোয়াইটওয়াশের। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘অবশ্যই ৫-০ সিরিজ জিততে পারলে ভাল লাগবে। মেলবোর্ন টেস্টের আগে আমরা এই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করব। আপাতত আমরা তিন টেস্টে যে ভাবে খেলেছি তাতে সন্তুষ্ট।’’
তবে দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভেজা পিচ। গত কাল রাত এবং সোমবার সকালে বৃষ্টি হওয়ার ফলে পিচ ভিজে গিয়েছিল। অনেকটা সময় ম্যাচ শুরু করা যায়নি। কিন্তু যখন গেল, হেজেলউ়ডের পেস এবং সুইংয়ের কোনও জবাব ছিল না ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের কাছে।
অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসারের সঙ্গে লায়ন। ছবি: রয়টার্স
তিন টেস্টের মধ্যেই অ্যাশেজ জিতে যাওয়ার পরে উৎসবের মাত্রাটা একটু বেশিই ছিল অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে। ড্রেসিংরুমে বিয়ারের বোতল হাতে ছবি তুলতে দেখা যায় মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, হেজেলউডদের। যে উৎসবে যোগ দেন ক্রিকেটারদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও।
আরও পড়ুন: সিরিজ জিতে নতুন সিরিজ জয়ের বৈঠক
সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়া ফেভারিট থাকলেও ইংল্যান্ড যে এত সহজে আত্মসমর্পণ করবে, সেটা ভাবা যায়নি। ইংল্যান্ডের এই ব্যর্থতার পিছনে উঠে আসছে তাদের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যর্থতা। কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে অ্যালাস্টেয়ার কুক এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে। কেভিন পিটারসেন তো বলেই দিয়েছেন, এক জন ওপেনিং বোলারকে বসানোর সময় হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ব্রডকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট অবশ্য বলেছেন, ‘‘ওদের প্রয়োজন আছে দলে। আমি অন্তত আগামী ১২ মাস ওদের ইংল্যান্ড দলে দেখতে পাচ্ছি।’’