পাকিস্তানকে সদ্য টেস্ট সিরিজে হারালেও অস্ট্রেলিয়ার জন্য আসন্ন ভারত সফরে চার টেস্টের চ্যালেঞ্জ খুবই কঠিন। মন্তব্য রিকি পন্টিংয়ের।
‘‘আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া সমস্যায় পড়বে ভারতে। প্রত্যেকটা বিদেশি দলই যে ভাবে পড়ে ওখানে। যত দিন যাচ্ছে, বিদেশি দলগুলোর ভারতে টেস্টের চ্যালেঞ্জ ততই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। হয়তো ওখানকার উইকেটগুলোকে ভারতের নিজেদের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী করে তুলতে পারাটাই এর কারণ,’’ বলেন পন্টিং।
পাকিস্তানকে মাসখানেক আগেই টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে স্টিভ স্মিথরা ৩-০ হারিয়েছেন। তার আগে অবশ্য শ্রীলঙ্কায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজদের কাছে ০-৩ হেরেছেন তাঁরা। ভারতে সিরিজ জেতা দূরের কথা, পন্টিং বলছেন অস্ট্রেলিয়া দারুণ লড়াই করতে পারলেই তিনি খুশি হবেন। ‘‘উপমহাদেশে অস্ট্রেলিয়া সফর মানেই এটা নিশ্চিত, বল প্রথম দিন থেকেই ঘুরতে শুরু করবে,’’ বলেন পন্টিং।
নিজে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন থাকাকালীন ভারতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেননি পন্টিং। ২০০৪ সফরে অস্ট্রেলিয়া জিতলেও সেটা তৎকালীন অস্থায়ী অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়। কেন না পন্টিং চার টেস্টের সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচে ছিলেন না চোটের জন্য। চতুর্থ টেস্টে ফিরেছিলেন দলে। ছ’বার ভারত সফরের অভিজ্ঞতা থাকা প্রাক্তন অধিনায়কের স্টিভ স্মিথদের দলকে পরামর্শ, ‘‘আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য ভারত সফর শেখার জায়গা। ভারতীয় পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারার লড়াই। অস্ট্রেলীয় স্টাইল আর উপমহাদেশে খেলার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে শেখা।’’
আর এক প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্যাপ্টেন ইয়ান চ্যাপেল আবার মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করবে সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্মের উপর। যিনি গত বছর সে রকম ছন্দে না থাকলেও সিডনি টেস্টে সেঞ্চুরির পর ওয়ান ডে সিরিজেও পরপর সেঞ্চুরি করে আপাতত ফর্মের তুঙ্গে আছেন। ‘‘ওয়ার্নার যদি ভারতে অগুন ঝরাতে না পারে, অস্ট্রেলিয়ার সে রকম কোনও সুযোগ দেখছি না। কিন্তু ও ফর্মে থাকলে ওর পরের ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ হয়ে যাবে। ভারতীয় স্পিনারদেরও চিন্তায় ফেলে দেবে ওয়ার্নার। ক্রমাগত আক্রমণ করে। যে ব্যাপারটায় ভারতীয় স্পিনাররা খুব একটা অভ্যস্ত নয়।’’
স্মিথের বাঁ গোড়ালিতে চোট। তাই আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে তাঁর বদলে নেৃতৃত্ব করবেন ম্যাথু ওয়েড। তিনটে ওয়ান ডে-র সিরিজে স্মিথের পরিবর্ত হিসেবে দলে এসেছেন স্যাম হ্যাজলেট। ওয়ার্নারও এই সিরিজে বিশ্রামে আছেন।