নাম অ্যাশলে বার্টি। বয়স বাইশ। অস্ট্রলীয় পেসার মিচেল জনসনের রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের মেয়ে। টেনিস খেলা শুরু করেন চার বছর বয়সে। বছর চারেক আগে তাঁর কী খেয়াল হল, টেনিস থেকে ছুটি নিয়ে মাতলেন ক্রিকেটে। এমনকি, মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগেও জায়গা করে নিলেন। কুড়িতে পা দিয়ে আবার মনে হল, টেনিসটাই তাঁর জন্য বেশি ভাল। আর এই ২০১৯-এর জানুয়ারিতে পৌঁছে গেলেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে পনেরো নম্বরে। তাও সিঙ্গলসে। শুধু তাই নয়, রবিবার মারিয়া শারাপোভাকে হারিয়ে অস্ট্রেলীয় ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেও উঠলেন!
হঠাৎ টেনিস ছেড়ে ক্রিকেটে চলে যাওয়া কেন? বার্টি বলেছেন, ‘‘ওই সময়টায় টেনিস খুব বেশি উপভোগ করছিলাম না। হয়তো সেটাই কারণ।’’ ক্রিকেটে বার্টি ছিলেন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। মিডিয়াম পেসারও। বিগ ব্যাশে পর পর দু’মরসুম খেলেছেন দু’টি ক্লাবে। ব্রিসবেন হিট এবং কুইন্সল্যান্ড ফায়ারে। ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট কিছু করতে পারেননি। হয়তো সে কারণেই আবার টেনিসে ফেরা। বার্টি যা নিয়ে বলছেন, ‘‘কিছু দিন যেতেই মনে হল, টেনিসটা জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকটা উপলব্ধির মতো। মনে হল, টেনিসকেই বেশি ভালবাসি। তবে সেই ১৮ মাস টেনিসের বাইরে থেকে লাভই হয়েছে। মানসিক অবসাদটা কেটে গেল। কারণ ক্রিকেট ব্যক্তিগত খেলা নয়। সাহায্য করার জন্য সব সময় দলের বাকি দশজন থাকে। তাই টেনিসে ফিরলাম আরও ভাল মানুষ হয়ে। ক্রিকেট খেলে টেনিসেও উন্নতি করলাম।’’
গত বছরই ফরাসি ওপেনে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেন বার্টি। সঙ্গে উইম্বলডন ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে তৃতীয় ও চতুর্থ রাউন্ডে। তবে ডাবলসেই তাঁর নাম এতদিন বেশি ছিল। তিন বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালিস্ট। গত বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়নও। এখন দেখার, রড লেভার এরিনায় এ বার সিঙ্গলসে শেষ পর্যন্ত তিনি কত দূর যান। অস্ট্রেলীয়রা তাঁকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন। শারাপোভার বিরুদ্ধে রবিবার তো গোটা স্টেডিয়াম বার্টির হয়ে গলা ফাটালেন। জীবনে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে সিঙ্গলস কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘এ ভাবে কখনও আবেগে ভাসিনি। হতে পারে, রাতে ঘুমনোর সময়ও এই আওয়াজ আমার
সঙ্গেই থাকবে।’’