মহম্মদ আজহারউদ্দিন। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন কি ফিরতে পারবেন ক্রিকেটের মূলস্রোতে। যদিও ক্রিকেটার হিসেবে নয়, বরং প্রশাসক হিসেবে? বিসিসিআই-এর বিরোধ স্বত্বেও কি তিনি এইচসিএ-র নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন আজহার? এরকম অনেক প্রশ্নই ঘুরছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত জবাব এল।
আরও পড়ুন
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোর্ডকে তথ্য দিতে ব্যর্থ অধিকাংশ রাজ্য সংস্থা
ফিটনেসই মূল, বিরাটদের সংসারে রোনাল্ডো-মন্ত্র
বিসিসিআই ইতিমধ্যেই ই-মেল করে জানিয়ে দিয়েছে, আজহারউদ্দিনের নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করতে কোনও বাধা নেই। এইচসিএ-র অ্যাড-হক কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশ চাঁদ জৈন আজহারউদ্দিন প্রসঙ্গে বিসিসিআইকে চারটি ই-মেল করেছিলেন। আদৌ তিনি রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না? সূত্রের খবর জৈনের শেষ ই-মেল ছিল এই বছর ১০ জানুয়ারি। যা খবর বিসিসিআই এই প্রসঙ্গে ১২ জানুয়ারিই উত্তর দিয়েছিল। যেখানে বলা ছিল বিসিসিআই-এর তরফে আজহারকে ছাড়পত্র দেওয়া হল। ওঁর বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা জমে থাকল না। এমন কী সেই সময় ২০১৭র জানুয়ারিতে যে রাজ্য সংস্থার নির্বাচন হয়েছিল সেখানেও অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু সেই সময় আজহারের নমিনেশন বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার রাজীব রেড্ডি । বাতিলের কারণ হিসেবে দেখানো হয় বিসিসিআই তখনও তাঁর নির্বাসন তুলে নেয়নি।
জৈন জানিয়েছেন, তিনি বিসিসিআইকে বার বার লেখা স্বত্বেও তারা কোনও উত্তর দেয়নি। এই মাসের শুরুতে সিওএ ও বিসিসিআই কর্তারা আজহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আজহারও বিসিসিআই-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে। যাতে নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। ২০০০ সালের ৫ ডিসেম্বর আজহারকে আজীবন নির্বাসন দিয়েছিল বিসিসিআই। এর পর উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানায় বিসিসিআই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আজহারকে ছাড় দিতে বাধ্য হল বিসিসিআই।