নিয়ন্ত্রণকেই অস্ত্র করছেন ঈশান

ঈশান নিজে কিন্তু সেই ভরসা দিচ্ছেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংকেই প্রধান অস্ত্র করছেন বাংলার উদীয়মান এই পেসার। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

রঞ্জি ট্রফিতে ভাল পারফরম্যান্সের পর বাংলার ক্রিকেট মহলে অনেকের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই রাহুল দ্রাবিড়ের নজরে পড়া। রাহুল তাঁর যুব বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে ঈশান পোড়েলকে নিয়ে যান নিউজিল্যান্ডে। সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চারটি উইকেট নিয়ে দলের বড় ভরসাও হয়ে উঠেছেন বঙ্গ পেসার। এ বার মঞ্চটা আরও বড়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মূলপর্ব। রবিবার যার প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হয়তো খেলতে দেখা যাবে চন্দননগরের ছেলেটিকে। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন, পারবেন ঈশান সফল হতে?

Advertisement

ঈশান নিজে কিন্তু সেই ভরসা দিচ্ছেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংকেই প্রধান অস্ত্র করছেন বাংলার উদীয়মান এই পেসার। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক। একই সঙ্গে তফাত রয়েছে দু’দেশের পিচের মধ্যেও। নিউজিল্যান্ডের পিচে গতি বেশি। তাই উপমহাদেশের প্রত্যেক বোলারকেই ওখানে গিয়ে বলের লাইন ও লেংথ বদলাতে হয়। দলের সহকারি কোচ পরশ মামরে ও কোচ দ্রাবিড়ের পরামর্শে গত কয়েক দিন ধরে সেটাই করার চেষ্টা করেছেন ঈশান। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর টার্গেট তাই লেংথে নিয়ন্ত্রণ এনে বোলিং করা।

নিউজিল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে ঈশান বলেছিলেন, ‘‘গতিময় উইকেট দেখে অনেক পেসারই নিজেদের লাইন ও লেংথ ঠিকমতো রাখতে পারে না। নিয়ন্ত্রণ হারায়। আমি প্রথমেই চেষ্টা করব আমার লাইন ও লেংথ নিয়ন্ত্রণে আনতে।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে জেতার পরেও ঠিক একই কথা বলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও নিয়ন্ত্রিত লেংথে গতিময় বোলিংই মূল অস্ত্র হতে চলেছে ঈশানের।

Advertisement

চন্দননগরে তাঁর প্রথম কোচ প্রদীপ মণ্ডলের মুখে ঈশানের জন্যে পরামর্শটা একটু অন্য রকম। ছোটবেলা থেকেই তিনি ঈশানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাই প্রস্তুতি ম্যাচের পরে তিনি ফোনে ঈশানকে বলে দেন যে, বাউন্সারটা যেন ঠিক জায়গায় পড়ে। প্রদীপবাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পরে ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওর বাউন্সারটা বিষাক্ত। তাই প্রথম ম্যাচে নামার আগে ওকে বলি, এই অস্ত্রটা ভাল করে কাজে লাগাতে।’’

কোচের মতে সুইং এবং গতিই অন্য বোলারদের থেকে ঈশানের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘নিউজিল্যান্ডের উইকেট ওকে সাহায্য তো করবেই। তা ছাড়া ওর বল বেশ দেরিতে সুইং করে। এই ধরনের বল ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বেশ বিপজ্জনক।’’

ঈশানের আর এক কোচ বিভাস দাস মনে করেন যে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে রঞ্জি ট্রফির অভিজ্ঞতা একটা বড় প্রাপ্তি ঈশানের। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে রঞ্জি ট্রফি খেলেছে ও। আশা করছি বিশ্বকাপের মঞ্চে এই অভিজ্ঞতা ওকে আরও পোক্ত করে তুলবে।’’

প্রথম ম্যাচে ঈশানের বলের গতি ও সঠিক লেংথ অস্ট্রেলিয়াকে কাবু করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement