বিরাট কোহালিদের সামনে টেস্ট পরীক্ষায় পড়ার আগেই দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ বোলারদের রীতিমতো শাসন করলেন ভারত ‘এ’ ব্যাটসম্যানরা।
হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হল ২২৪-৮। জবাবে মেহদি হাসান, তাইজুল ইসলামদের পিটিয়ে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৪৬১-৮। শতরান পেলেন ভারত ‘এ’-র প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল (১০৩), শ্রেয়স আইয়ার (১০০) এবং বিজয় শঙ্কর (১০৩)। দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৭৩-২।
আরও একটা ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের মতো নির্ভরযোগ্য ওপেনার চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। তার পর এ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে শফিউল ইসলাম (১০ ওভারে ৫০), তাইজুলরা (২৮ ওভারে ১৪১) যে ভাবে রানের বন্যা ছোটালেন, কোহালি-চেতেশ্বর পূজারাদের মতো ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানদের সামনে পড়লে এই বোলিংয়ের কী হাল হবে, তাই নিয়ে চিন্তায় বাংলাদেশের সমর্থকরা।
বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ জানেন চ্যালেঞ্জটা সোজা নয়। তবে তাঁর বিশ্বাস নিউজিল্যান্ড সিরিজের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বোলারদের কাজে আসবে। ‘‘বোলাররা উন্নতি করছে। নিউজিল্যান্ডে বোলিং দেখে আমার সেটাই মনে হয়েছে। এ বার আর একটা চ্যালেঞ্জ। নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা কাজে আসবে।’’ তবে একটা সমস্যা যে আছে সেটা স্বীকার করে নিয়েছে ওয়ালশ। ‘‘অভিজ্ঞতা কম থাকার সমস্যাটা আছে। দু’দেশের মধ্যে খুব একটা টেস্ট তো এর মধ্যে খেলা হয়নি। তবে আমাদের বোর্ড চাইছে যতটা সম্ভব সেই অভাবটা দূর করার। যত বেশি অ্যাওয়ে টেস্ট টিম খেলবে তত ভাল।’’
চিন্তার আরও একটা কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের ফিল্ডিং। নিউজিল্যান্ড সিরিজে যে ভাবে ক্যাচ পড়েছে সেটা নিয়ে চিন্তায় থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বাংলাদেশ শিবিরের। ওয়ালশ অবশ্য বলছেন অতীতের এ সব ব্যর্থতা ভলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ‘‘ম্যাচে ক্যাচ তো পড়তেই পারে। এ নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেছি প্লেয়ারদের। বলেছি পরের ম্যাচটা নিয়ে ভাব।’’
ওয়ালশ যাই বলুন, চেতেশ্বর পূজারা কিন্তু মনে করেন দু’দলের যুদ্ধে এগিয়ে থাকবে ভারতই। ভারতীয় ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘গত বছর আমরা যে রকম পারফর্ম করেছি তাতে মনে হচ্ছে আমরাই এগিয়ে থাকব এই লড়াইয়ে। জোরে বোলার, ব্যাটসম্যানরা, লোয়ার অর্ডার সবাই দারুণ খেলেছে। আমার বিশ্বাস একটা টিম হিসেবে খেললে আমরাই এগিয়ে থাকব।’’