বাংলাদেশ তাকিয়ে সাব্বিরের (৫৯ নট আউট) দিকে। চট্টগ্রামে। ছবি: এপি
বাংলাদেশ তার ষোলো বছরের টেস্ট ক্রিকেট অধ্যায়ের সবচেয়ে স্মরণীয় জয় থেকে মাত্র ৩৩ রান দূরে। আর বাংলাদেশকে ন’টেস্টের ন’টাতেই হারাতে ইংল্যান্ডের চাই মাত্র দুই উইকেট। জাহুর চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার ম্যাচের শেষ দিন যে কেউ জিততে পারে। রবিবার সারা দিনে দু’দলের দশ উইকেট পড়ার ফাঁকে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে আগের দিনের ২২৮-৮ থেকে অল আউট হয় ২৪০-এ। ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ২৮৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ আপাতত ২৫৩-৮।
বাংলাদেশকে যদি বল হাতে তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার সাকিব আল হাসান (৫-৮৫) স্বপ্ন দেখিয়ে থাকেন, তা হলে ব্যাটে সোনালি স্বপ্ন তৈরি করছেন সাব্বির রহমান (৫৯ নট আউট)। সাত নম্বরে নেমে টেস্ট অভিষেকে ব্রড-স্টোকস-ওকস-মইন আলি সমৃদ্ধ শক্তিশালী ইংরেজ বোলিং আক্রমণ সামলে হাফ সেঞ্চুরি করাই শুধু নয়, এ দিন শেষ বেলায় অবিচ্ছেদ্য নবম উইকেটে ১৫ রান যোগ করে তুমুল লড়াই করে চলেছেন। অ্যালিস্টার কুকের দলের প্রচণ্ড চাপের মুখে সাব্বিরকে যোগ্য সহায়তা দিচ্ছেন দশ নম্বরে নামা তাইজুল ইসলাম-ও (১১ ব্যাটিং)।
বাংলাদেশ এই টেস্টে একসঙ্গে তিন নতুন মুখ খেলাচ্ছে। যাঁদের মধ্যে মেহদি হাসানের প্রথম ইনিংসে ছ’উইকেট-সহ ম্যাচে অবদান ৭-১৩৮। তবে দ্বিতীয় জন কামরুল রাব্বি টেস্ট অভিষেকে দু’ইনিংসে শূন্য করার হতভাগ্যদের তালিকা ভুক্ত হন আজ। যদিও সেই তালিকায় গ্রাহাম গুচ, সইদ আনোয়ার, মার্ভান আতাপাত্তু-র মতো পরবর্তী যুগে কিংবদন্তি হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যানদের নামও আছে। এবং শেষ জন সাব্বির, যাঁর প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৩৬, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৮০ আর ওয়ান ডে-তে ৬৫ সর্বোচ্চ স্কোর থাকায় গোটা বাংলাদেশ ক্রিকেটমহল এখন তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৯৪ টেস্টের ৭১টা হারলেও (জয় ৭) সম্প্রতি ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারতের সঙ্গে টেস্ট ড্র করেছে। ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করেছে জিম্বাবোয়েকে। এখন দেখার বাংলাদেশ তার টেস্ট জীবনের সতেরো বছরে পা রাখার ১৭ দিন আগে ইতিহাস গড়তে পারে কি না?