লিওনেল মেসি। ছবি: রয়টার্স।
বুধবার রাতে একাই টানলেন দলকে। নিজের নামের পাশে লিখিয়ে নিলেন জোড়া গোল। আর সেল্টিককে ০-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ-সির শীর্ষে শেষ করার পাশাপাশি শেষ ১৬ও নিশ্চিত করে ফেলল বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি স্বমহিমায় ফিরলেন ফিরল বার্সেলোনাও। প্রথমার্ধে এক, দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল। আর সেখানেই শেষ খেলা।
প্রথম গোল এল ২৪ মিনিটে। ডানদিক থেকে বল নিয়ে দৌঁড় শুরু করেছিলেন নেইমার। বল লক্ষ্য করেই প্রতিপক্ষ বক্সের দিকে সমানতালেই এগোচ্ছিলেন মেসিও। সেখান থেকেই নেইমারের মাপা পাস ছুটে যাওয়া মেসিকে। চলতি বলেই মেসির শট সরাসরি গোলে। সেল্টিক গোলকিপারের দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেন সেই মেসিই। এ বার পেনাল্টি থেকে। পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিলেন সুয়ারেজ। গোল করতে ভুল করেননি এলএম টেন।
অন্যদিকে শেষ ১৬ নিশ্চিত করে ফেলল ম্যানচেস্টার সিটিও। যদিও গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে। এদিন বরুসিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্র করেই শেষ করতে হল ম্যান সিটিকে। প্রথমার্ধে বরুসিয়াকে গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন রাফায়েল। ম্যাচের বয়স তখন সবে ২৩ মিনিট। প্রথমার্ধের অনেকটা সময় এগিয়েই ছিল আগুয়েরোদের প্রতিপক্ষ। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ম্যান সিটিকে সমতায় ফেরালেন দাভিদ সিলভা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কোনও দলই আর কোনও গোল করতে পারেনি।
অন্য ম্যাচে আর্সেনাল-পিএসজি ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। দু’পক্ষই একটি করে সেম সাইড গোল করে। আর্সেনালের হয়ে একটি গোল করেন জিরৌদ। একটি গোল সেম সাইড। পিএসজির হয়ে একটি গোল কাভানির। একটি সেম সাইড। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলে হারাল পিএসভিতে। অ্যাটলেটিকোর হয়ে গোল দু’টি করেন গানেইরো ও গ্রিয়াজম্যান। বাসেল-লুডোগারেটস ও নাপোলি-ডায়নামো ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।
আরও খবর
ইউরোপও এখন দেখছে লেস্টার সিটির রূপকথা