উৎসব: গোলের পরে উল্লাস সুয়ারেস-এর। ছবি: এএফপি
গত সপ্তাহেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, নিজের গোল বা ব্যক্তিগত খেতাব জয়ের চেয়েও বার্সেলোনার সাফল্য পাওয়াটা তার কাছে বেশি জরুরি।
এ বার তা মাঠে দেখালেন লিওনেল মেসি। কোপা দেল রে প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ঘরের মাঠ কাম্প ন্যু-তে ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে বার্সেলোনা শেষ করেছিল গোলশূন্য অবস্থায়। ইভান রাকিতিচ এবং লুইস সুয়ারেস সহজ সুযোগ নষ্ট করায় বিরতির আগে গোল পায়নি বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে তাই ঝলসে উঠতে হল মেসিকেই। আর মেসি সচল হতেই নড়েচড়ে বসলেন সুয়ারেসরাও। শেষ পর্যন্ত নিজে গোল করেননি মেসি। কিন্তু তাঁর দুরন্ত ক্রস থেকেই শূন্যে ভাসমান অবস্থায় দুর্দান্ত হেডে গোল করে লুইস সুয়ারেস এগিয়ে দিলেন বার্সেলোনাকে। চলতি মরসুমে বার্সেলোনার হয়ে এটি সুয়ারেস-এর ১৯ তম গোল।
ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার উরুগুয়ের তারকা বলেও গেলেন, ‘‘মেসি ক্রসটা তুলতেই বুঝে গিয়েছিলাম এ বার আমার গোল আসছে।’’ শুধু সুয়ারেস নন। মেসি-র এই গোল করানোর প্রয়াস দেখে মুগ্ধ বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে স্বয়ং। বলছেন, ‘‘মেসি বল পেলেই আমরা ভাবতে শুরু করে দিই, এ বার অবিশ্বাস্য কিছু ঘটতে চলেছে। গোল করা যখন অসম্ভব হয়ে পড়ছে, ঠিক তখনই লিও-র ক্রস। আর সেখান থেকেই গোল পেলাম আমরা।’’ কোপা দেল রে টুর্নামেন্টে গত তিন বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনাই। এ বার তাই চতুর্থ বার ট্রফিটা কাম্প ন্যু-তে নিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। লা লিগাতেও এই মুহূর্তে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষস্থানে থাকা বার্সেলোনা। ফলে স্প্যানিশ ফুটবলে লিগ ও কাপ জিতে ‘ডাবল’ করতে মুখিয়ে বার্সা সমর্থকরা।
ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে রিজার্ভ বেঞ্চেই ছিলেন বার্সেলোনার নবাগত ব্রাজিলীয় ফিলিপে কুটিনহো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে মাঠে নামান বার্সেলোনা ম্যানেজার। ফিরতি পর্বের সেমিফাইনাল ভ্যালেন্সিয়ার ঘরের মাঠে। যে ম্যাচের আগে সুয়ারেস আত্মতুষ্ট হতে নারাজ। বলছেন, ‘‘ফাইনালে যেতে গেলে এখনও নব্বই মিনিট খেলতে হবে আমাদের। একে কোপা দেল রে সেমিফাইনাল। তার উপর ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়া সব সময়েই কঠিন প্রতিপক্ষ। কাজেই আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই’’