খালিদ জামিলের জায়গায় শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসাবে বেছে নেওয়া বাস্তব রায়কেই। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিক পরামর্শেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল।
দেশের সেরা কোচ এবং ফুটবলাররা যখন সবাই আই এস এলে কাজ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে, তখন একে বারে উল্টো রাস্তায় হাঁটলেন বাস্তব। এটিকের মোটা বেতনের নিশ্চিত চাকরি ছেড়ে সাড়া দিলেন তীব্র আর্থিক সমস্যায় থাকা ইস্টবেঙ্গলে। শুক্রবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে বসে জীবনে প্রথম বার বড় ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া বাস্তব বলে দিলেন, ‘‘স্বাধীনভাবে কাজ করব বলে চ্যালেঞ্জটা নিলাম। সহকারী হিসাবে যা করতে পারিনি। সুভাষদার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সেটা পাব বলেই ইস্টবেঙ্গলে এসেছি।’’
আন্তোনিও লোপেজ হাবাস, হোসে মলিনা এবং টেডি শেরিংহ্যামের মতো নামী কোচের সঙ্গে কাজ করেছেন তিন বছর। নতুন দায়িত্ব পেয়ে সেটা কাজে লাগাতে চান তিনি। বলছিলেন, ‘‘ওদের থেকে সময়ানুবর্তিতা আর শৃঙ্খলটা শিখেছি।’’ আঠারো বছর আগে হোসে ব্যারেটোর সঙ্গী ছিলেন মোহনবাগানে। ইস্টবেঙ্গলে খেলেননি। তবে মহমেডান, টালিগঞ্জ অগ্রগামীর মতো ক্লাবে খেলেছেন বাস্তব।
ইস্টবেঙ্গলে চূড়ান্ত আর্থিক সমস্যা চলছে। চল্লিশ লাখ টাকা খরচ করে তাই ব্রাজিলীয় ফিজিক্যাল ট্রেনার গার্সিয়াকে রাখা হচ্ছে না। ইস্টবেঙ্গল টিডি ইঙ্গিত দিয়েছেন তেমন হলে নিজেই সব ট্রেনিং করাবেন। শুধু তাই নয়, দুই বিদেশি নিয়েও কলকাতা লিগ খেলতে পারেন বলে জানাচ্ছেন সুভাষ। বলে দিলেন, ‘‘যাদের সই করিয়েছি তাদের উপর আস্থা রাখব কলকাতা লিগে। আসল লক্ষ্য তো আই লিগ জেতা। পয়লা জুন থেকেই অনুশীলন শুরু করাব।’’ ইস্টবেঙ্গল এ দিন সই করাল মোহনবাগানের কিংশুক দেবনাথকে।