গোল করছেন ভিদাল। ছবি: এএফপি।
আর্সেনাল ১ (ওয়ালকট)
বায়ার্ন মিউনিখ ৫ (লেওয়ানোডস্কি, রবেন, ডগলাস, ভিদাল-২)
মোট ব্যবধান বায়ার্নের পক্ষে ১০-২
প্রথম লেগে ৫-১ এর পর দ্বিতীয় লেগেও সেই ফলের অ্যাকশন রিপ্লে দেখল লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়াম। শুরু থেকে শেষ আর্সেনালকে দাঁড়াতেই দেননি রবেন, ভিদালরা। প্রথম লেগের ফল বলেই দিয়েছিল বড় কোনও দূর্ঘটনা না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে যাচ্ছে বায়ার্নই। কিন্তু চমকের আশায় মাঠ ভরিয়েছিলেন আর্সেনাল সমর্থকরা। আর ম্যাচ শেষে সেই সমর্থকদেরই ক্ষোভের শিকার হতে হল আর্সেন ওয়েঙ্গারকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল ওয়েঙ্গারের দল। জঘন্য ফুটবল, অসহায় আত্মসমর্পণ সঙ্গে লরেন্ট কোসিনলের লাল কার্ড বাড়তি সংযোজন। ৫৪ মিনিটে কোসিনলে সরাসরি লাল কার্ড দেখলে বাকি সময়টা ১০ জনে খেলতে হয় আর্সেনালকে। যার পর আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি আর্সেনাল।
আরও খবর: নাপোলিকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে রিয়াল মাদ্রিদ
৫৪ মিনিটে লেওয়ানোডস্কিকে ফাউল করার জন্য প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু সহকারি রেফারির সঙ্গে পরামর্শের পর হলুদ কার্ডের পরিবর্তে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাঁকে। পেনাল্টি পায় বায়ার্ন মিউনিখ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি রবার্ট নেওয়ানোডস্কি। তার আগে অবশ্য থিও ওয়ালকটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। ২০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া একটি দল ১০ জনে না হয়ে গেলে হয়তো একটা সম্ভাবনা থাকত। কিন্তু তেমনটা হল না বরং জয়ের আশ্বাস দিয়েও মুখ থুবড়ে পড়তে হল আর্সেনালকে।
হেরে হতাশ আর্সেনালের অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেজ।
প্রথম গোলের পর একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন অলিভার গিরোদ। তাও প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই শেষ করেছিল আর্সেনাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে বায়ার্ন মিউনিখ। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান আর্জেন রবেন। ওসপিনা প্রথম শট বাঁচিয়ে দিলেও সেটা পুরো ক্লিয়ার করতে পারেনি। ফিরতি বলে রবেনের শট চলে যায় গোলে। এর পরও গোল মিসের পর্ব চলতে থাকে। তার মধ্যেই ৭৮ মিনিটে ডগলাস কোস্তার গোলে ৩-১এ এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৮০ ও ৮৫ মিনিটে ভিদালের জোড়া গোলে ম্যাচের ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-১। মোট ব্যবধান দাঁড়ায় ১০-২। রিয়েল মাদ্রিদের সঙ্গে একই দিনে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে বায়ার্ন মিউনিখ।