প্রশ্নের মুখে শামির ক্রিকেট কেরিয়ার। ফাইল চিত্র
মহম্মদ শামিকে তিন ঘন্টা ধরে জেরা করল বোর্ডের দুর্নীতি-দমন শাখা। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে সিওএ নিযুক্ত এসিএসইউ প্রধান নীরজ কুমার শামিকে জেরা করেন। গড়াপেটা অথবা আর্থিক দুর্নীতিতে শামি জড়িত কি না সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। শামি তদন্তে কতটা সহযোগিতা করেছে সে সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেননি তদন্তকারী অফিসার। তবে প্রয়োজনে শামিকে ফের তলব করা হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন নীরজ কুমার।
শামির স্ত্রী হাসিন জাহানের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ তাঁকে বোর্ডের তরফে ডেকে পাঠানো হয়। হাসিন এ দিন শামির বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটা, আর্থিক সুবিধা নেওয়া, নির্যাতন-সহ নানা অভিযোগ এনেছেন। হাসিন বলেছেন, ‘শামি একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানি মহিলা আলিশবা-র থেকে টাকা নিয়েছেন।’ বোর্ডের দুর্নীতি-দমন শাখা এই ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য শোনে এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ দেয়। শামি তদন্তকারী অফিসারকে বলেন, ‘‘ম্যাচ গড়াপেটা করার চেয়ে আমার মরে যাওয়াই শ্রেয়। সঠিক তদন্তের জন্য আমি সর্বতোভাবে সাহায্য করব। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিতেও আমার আপত্তি নেই।’’
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টও চায় শামির নাম যাতে গড়াপেটা বা সে রকম কিছুতে জড়িত না থাকে। আইপিএল-এ তাঁর দল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসও তাঁর যোগদান নিয়ে চিন্তায় আছে। ২৮ মার্চের মধ্যে শামি নির্দোষ প্রমাণিত না হলে তারাও বিকল্প পথ খুঁজবে।
আরও পড়ুন: সন্তানদের নিয়ে ভুল তথ্য দেবেন না, মিডিয়াকে অনুরোধ হাসিনের
আরও পড়ুন: শামির ফোন-কলে শান্তিরই অনুরোধ
যাদবপুর থানাতেও শামির নামে স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শামির স্ত্রী হাসিন জাহান সিওএ প্রধান বিনোদ রাই-এর কাছে তাঁর অভিযোগ লিখিতভাবে জানিয়েছেন। বিসিসিআই তাঁদের দুর্নীতি-দমন শাখাকে শামি ইস্যুতে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।