হার্দিকদের নিয়ে ফোনে তদন্ত শুরু বোর্ডের

দুই বিতর্কিত ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্য ও কে এল রাহুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৪
Share:

বিপন্ন: হার্দিককে নিয়ে উৎকণ্ঠা ভারতীয় শিবিরেও। ফাইল চিত্র

দুই বিতর্কিত ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্য ও কে এল রাহুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। মঙ্গলবার দুই বিতর্কিত ক্রিকেটারের বিবৃতি নেন বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি। সম্প্রতি এক টিভি অনুষ্ঠানে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন হার্দিক, তার জেরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে সারা দেশে। এই দুই ক্রিকেটারকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরিয়ে আনে বোর্ড। এ বার তারই তদন্ত শুরু হল।

Advertisement

বোর্ডের শো-কজের জবাবে দু’জনেই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সোমবার। সে দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেন কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)-এর প্রধান বিনোদ রাই। বোর্ডের নতুন গঠনতন্ত্রের ধারা মেনেই হচ্ছে এই তদন্ত।

জানা গিয়েছে, দু’জনেই ফোনে বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক বোর্ড কর্তা সংবাদ সংস্থাকে মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সিইও ওদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। উনি তদন্ত শুরু করলেন মাত্র। ওরা শো-কজের জবাবে যা লিখেছে, সেগুলো নিয়েই মূলত কথাবার্তা হয়েছে। সিইও বুধবারের মধ্যেই সিওএ-র কাছে তাঁর রিপোর্ট

Advertisement

জমা দেবেন।’’

আসন্ন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট যদি ওম্বাডসম্যান বা অন্তর্বর্তীকালীন ওম্বাডসম্যান নিয়োগ করে, তা হলে নবনিযুক্ত ব্যক্তিই এই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার নেবেন বলে জানান এই বোর্ডকর্তা। তবে এই বিতর্কের জেরে মাশুল দিয়েই চলেছেন হার্দিক। যেমন কয়েক মাস আগে হার্দিককে দেওয়া তাদের ক্লাবের সাম্মানিক সদস্যপদ বাতিল করে দিল মুম্বইয়ের অভিজাত খার জিমখানা ক্লাব। হার্দিকের প্রতি যে মোটেই খুশি নয় সমাজ, তা মঙ্গলবারের এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।

খার জিমখানার সাধারণ সচিব গৌরব কাপাডিয়া বলেছেন, ‘‘গত অক্টোবরে আমরা হার্দিককে তিন বছরের জন্য সাম্মানিক সদস্যপদ দিয়েছিলাম। কিন্তু ক্লাবের ম্যানেজিং কমিটি সোমবার তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’

এ দিকে হার্দিকের এই মন্তব্য নিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘‘ও মোটেই ঠিক কথা বলেনি। এবং তার জন্য ঠিক শাস্তিই পেয়েছে ওরা। তবে ওরা ভাল ছেলে। ওদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো উচিত।’’ লক্ষ্মণ আরও বলেন, ‘‘১৮-১৯ বছর বয়সেই এই সব ছেলের ব্যাঙ্কে ৫-১০ কোটি টাকা জমা পড়ে যায়। ব্যর্থতা সামলানো সোজা। কিন্তু সাফল্য সামলানো কঠিন। সারা দেশের নজর থাকে যাদের উপরে, তাদের বোঝা উচিত তাদের আচরণ পরবর্তী প্রজন্মকে প্রভাবিত করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন