জলঘোলা: ধোনি-কোহালিদের খেলা নিয়ে সংঘাত এখনও থামেনি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে সংঘাত অব্যাহত সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত প্রশাসকের দল এবং ভারতীয় বোর্ডের কর্তাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার আইপিএলের বাইশ গজে ঋষভ পন্থের ঝড় উঠল রাতের দিকে। মাঠের বাইরে সারাদিন ধরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিবদমান দু’পক্ষের কাজিয়ার ঝড় চলল। এক বার পর্যবেক্ষকের দল কড়া চিঠি পাঠাল। তাতে না দমে গিয়ে পাল্টা চিঠি লিখল কর্তাদের দলও।
আইসিসি এ বার লভ্যাংশ থেকে ভারতীয় বোর্ডের টাকা কমিয়ে দেবে বলেছে। বোর্ড কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এর প্রতিবাদে কড়া নোটিস পাঠাবেন নিয়ামক সংস্থাকে। আইনি মত নিয়েই সেই নোটিসে বলা হচ্ছে যে, চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করো, না হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
কিন্তু প্রশাসকদের দল (কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স বা সংক্ষেপে সি ও এ) এই নোটিস পাঠাতে বারণ করেছে। তারা বোর্ডের পদাধিকারী এবং রাজ্য সংস্থাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত না নিতে। অবিলম্বে দল নির্বাচন করতেও বলেছে সি ও এ। এই চিঠি পেয়ে পাল্টা চিঠি লেখেন সচিব অমিতাভ চৌধুরী। তাতে লেখেন, আইসিসি আমাদের প্রাপ্য টাকা কমিয়ে দিচ্ছে। সদস্যরা চান, নোটিস পাঠাতে। এই নোটিস পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
বিনোদ রাইয়ের নেতৃত্বে সি ও এ কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বলে, আইসিসি-কে এমন চিঠি পাঠানো যাবে না। বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী রবিবার। সেখানেই যা সিদ্ধান্ত হওয়ার হবে। সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের এই ফতোয়াও মানতে নারাজ বোর্ডের কর্তারা। অমিতাভ এর পর আরও একটি চিঠি পাঠান। তাতে বোর্ড সদস্যদের তরফে তিনি লিখেছেন, ৪ জুন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ। তার আগে এক মাস সময় দিতে গেলে শুক্রবারের মধ্যে চিঠি পাঠাতেই হবে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাঁদের সঙ্গে আছে বলে দাবি করে অমিতাভ আরও লেখেন, শুক্রবারের মধ্যে আইসিসি-কে চিঠি পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
এই শেষ চিঠির জবাব বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাননি অমিতাভ-রা। তাতে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, শুক্রবার সকালের মধ্যে যদি প্রশাসকদের দিক থেকে জবাব না আসে, কী করা হবে? কারণ নিয়ম অনুযায়ী, এমন নোটিস পাঠাতে হলে একমাসের সময় দিতেই হবে আইসিসি-কে। নোটিস পাঠাতে হলে তাই আজ, শুক্রবারের মধ্যে তা পাঠাতেই হবে। এক বোর্ড কর্তা রাতে বলছিলেন, ‘‘৪ তারিখ প্রথম ম্যাচ। তার আগে একমাসের সময়সীমা পেরিয়ে যাবে শুক্রবারেই। এক মাসের নোটিস না দিলে আইসিসি ভাববে, দিতে হয় তাই চিঠি দেওয়া হচ্ছে।’’
কর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনই আগ্রাসী যে, বলে দিয়েছেন, ‘‘সি ও এ যা পারে করুক। অনুমতি না দিলে আমরা চিঠি পাঠিয়ে রাখব।’’ দরকারে আজই ফের কর্তারা টেলিকনফারেন্স করতে পারেন। অমিতাভের চিঠিতে ৩১টির মধ্যে ২০টির বেশি রাজ্য সংস্থা সই করে দিয়েছে বলে খবর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ধোনি-কোহালিদের যাওয়া নিয়ে নাটকের এখনও অনেক বাকি।