শ্রীলঙ্কা-ভারত ও শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ২০১৭ ও ২০১৬ সালে যে টেস্ট ম্যাচ গলে আয়োজিত হয়েছিল তাতে গড়াপেটা হয়েছিল। এই খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। আর এক টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে উঠে আসা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে মুম্বইয়ের প্রথমশ্রেনীর ক্রিকেটার রবিন মরিসের নাম।
রবিন মরিস নাকি মেনে নিয়েছেন গলের গ্রাউন্ডসম্যানকে টাকা খাইয়ে দুটো ম্য়াচের পিচ বদলে দিতে বলেছিলেন। সেই দুটো ম্য়াচ ছিল শ্রীলঙ্কা বনাম ভারত ২০১৭-র জুলাইয়ে ও শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ২০১৬-র অগস্টে। দুটো ম্যাচই খেলা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। এই বছর নভেম্বরে গলেই শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ম্যাচ গড়াপেটারও পরিকল্পনা ছিল বলে সেই অপারেশনে উঠে এসেছে।
উঠে এসেছে থরাঙ্গা ইন্ডিকার নামও। তিনি গল স্টেডিয়ামের সহকারি ম্যানেজার। তাঁর সাহায্যেই নাকি এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। তবে স্টিং অপারেশনকারি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে কোনও ক্রিকেটারের নাম উঠে আসেনি। আইসিসি তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কা বোর্ডের তরফে সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়়ুন
আইপিএল-এর সেরা ভেন্যু ও মাঠ ইডেন
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিয়ে বসে রয়েছে। এই তালিকায় উঠে এসেছে ভারতের মাটিতে হওয়া দুটো টেস্ট ম্যাচও। তার মধ্যে রাঁচিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ২০১৭ ও চেন্নাইয়ে ভারত-ইংল্যান্ড ২০১৬। প্রথম টেস্টটি জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয়টি ড্র হয়েছিল। বিসিসিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে বিসিসিআিই তখনই পদক্ষেপ নেবে যখন আইসিসি তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত আসবে।
রবিন মরিস সম্পর্কেও অন্ধকারে বিসিসিআই। তাদের মতে, কোনওভাবেই বিসিসিআই-এর কোনও কিছুর সঙ্গে নেই মরিস। কিন্তু প্রাক্তনদের পেনশনের তালিকায় তিনি আছেন কিনা সেটা দেখবে বোর্ড। যদিও মরিস দোষী হয় তা হলে তাঁর সেই পেনশন বন্ধ করে দেবে বিসিসিআই।