Modi’s Bengal Visit

মেট্রো রেলের পর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের ‘ঝুলি’ নিয়ে রাজ্যে আসছেন মোদী! এসআইআরে উদ্বিগ্ন মতুয়া এলাকায় হবে সভা

দিল্লি থেকে আপাতত যে সফরসূচি রাজ্য বিজেপিকে জানানো হয়েছে, সেই অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তিনি পৌঁছোবেন তাহেরপুর। প্রথমে প্রশাসনিক কর্মসূচি। তার পর রাজনৈতিক সভা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৫৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

অগস্টের পশ্চিমবঙ্গ সফরে মেট্রোপথের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছিলেন। চার মাস পরে আবার যখন পশ্চিমবঙ্গে আসছেন, তখন তাঁর কর্মসূচিতে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ। আগামী শনিবার নদিয়া জেলার তাহেরপুরে সভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। চলতি বছরে শেষ তিনটি কর্মসূচির মতো এ বারেও প্রথমে প্রশাসনিক কর্মসূচি, তার পরে রাজনৈতিক সভা। সম্প্রসারিত জাতীয় সড়কের আনুষ্ঠানিক সূচনা এবং পরবর্তী অংশের সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে। তার পরে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি কী বলবেন, সে দিকে সব পক্ষেরই নজর থাকবে। কারণ এসআইআর শুরু হওয়ার পরে এটাই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফর মোদীর।

Advertisement

তাহেরপুরের নেতাজি পার্ক ময়দানকে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, মূল জনসভাস্থলে ছাউনি তৈরি হচ্ছে তিনটি বড় হ্যাঙার দিয়ে। আর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় যে প্রশাসনিক সভাস্থল তৈরি হচ্ছে, সেখানে থাকছে একটি ছোট হ্যাঙার। দিল্লি থেকে আপাতত যে সফরসূচি রাজ্য বিজেপিকে জানানো হয়েছে, সেই অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছোবেন তাহেরপুর। সকাল ১০টা ৩৫ নাগাদ তাহেরপুরে পৌঁছোনোর কথা মোদীর। তবে সময় সারণিতে কিছু পরিবর্তনও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগের দিনই তা চূড়ান্ত ভাবে জানানো হবে।

তাহেরপুর নেতাজি পার্ক ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি দেখভাল করছেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস (সাদা হাফ সোয়েটার) এবং বিজেপি নেতা অনল বিশ্বাস (গেরুয়া পাঞ্জাবি)। —নিজস্ব চিত্র।

চলতি বছরে আলিপুরদুয়ার, দুর্গাপুর এবং দমদমে একই ধাঁচে তিনটি কর্মসূচি ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন মোদী। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই প্রথমে করেছেন প্রশাসনিক সভা, তার পরে রাজনৈতিক। তাহেরপুরের কর্মসূচিও সে ভাবেই সাজানো হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কৃষ্ণনগর থেকে জাগুলিয়া পর্যন্ত যে সম্প্রসারণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, শনিবার তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মোদী। সেই সঙ্গে ওই জাতীয় সড়কেরই জাগুলিয়া-বারাসত অংশের সম্প্রসারণ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করবেন। যে অংশের সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে, সেই অংশে ১১০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর। যে অংশের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হচ্ছে, সেখানে আরও ১৫০০ কোটি টাকার মতো খরচ হতে পারে বলে ধরা হয়েছে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক আগের চেয়ে চওড়া হওয়ায় উত্তরবঙ্গের যে কোনও অংশ থেকে সড়কপথে কলকাতা আসা আগের চেয়ে মসৃণ হয়েছে। জাগুলিয়া থেকে বারাসত বা বিমানবন্দর এলাকা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া হয়ে গেলে এই যাতায়াত আরও মসৃণ হবে।

Advertisement

শুধু প্রশাসনিক কাজের নিরিখে নয়, রাজনৈতিক দিক থেকেও মোদীর এই পশ্চিমবঙ্গ সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাজ্যে এসআইআর শুরুর হওয়ার পরে এই প্রথম বার মোদী আসছেন। এবং প্রথম বারেই তিনি আসছেন মতুয়া প্রধান এলাকায়। এসআইআর-এর জেরে শরণার্থী হিসাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়া মতুয়া এবং অন্যান্য উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী কতটা সঙ্কটে পড়তে পারে, সে সংক্রান্ত তর্কে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি গত কয়েক মাস ধরে উত্তপ্ত। মতুয়া তথা উদ্বাস্তু প্রধান এলাকায় অনেকের মধ্যে এ বিষয়ে ধোঁয়াশা তথা উদ্বেগ রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী ওই অঞ্চলে জনসভা করে এই বিষয়ে কোনও বার্তা দেন কি না, শরণার্থীদের উদ্বেগ নিরসন করার চেষ্টা করেন কি না, সে দিকেও নজর থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement