কী ভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন মহিমা? ছবি: সংগৃহীত।
জটিল অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে একটা সময় পার করেছিলেন। সম্প্রতি কর্মজগতের ওঠাপড়া নিয়ে কথা বলেছেন মহিমা চৌধরি। হাতে কোনও কাজ নেই, এমন সময়ের মধ্যে দিয়েও গিয়েছেন তিনি। এমনকি, আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পর্যন্ত ভয় পেতেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মহিমা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে তিনি অজয় দেবগনের সঙ্গে ‘দিল কেয়া করে’ ছবির শুটিং করছিলেন। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অভিনেত্রী মুখ। মহিমা সেই অন্ধকার সময়টা মনে করে বলেন, “ছোট ছোট ৬৭টা কাচের টুকরো ছিল। এমন কিছু টুকরোও ছিল যেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। দুর্ঘটনার পরের দিন আমার মুখটা আরও ফুলে যায়। মুখের গঠন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। মুখের আঘাত দেখে আমার বন্ধুরা হাসাহাসি করেছিল। ওরা ভেবেছিল, কারও সঙ্গে হয়তো আমার হাতাহাতি হয়েছে। আমি মিথ্যে বলছি।”
নিজের মুখের অবস্থা দেখে মহিমা নিজেও বুঝে উঠতে পারছিলেন না, আগামিদিনে তাঁর সঙ্গে কী হতে চলেছে। অভিনেত্রী মনে করে বলেছেন, “আমি বুঝতে পারছিলাম না, আমার জীবনে কী হবে। খুব কঠিন ছিল সেই সময়টা। রোদে যেতে পারতাম না। সেলাই পড়েছিল, সেগুলোর জন্য বাইরে যেতে পারতাম না।”
সূর্যরশ্মি লাগলে মুখের চোট আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত। ‘পরদেশ’ ছবির নায়িকা বলেছেন, “এর মধ্যে একটা-দুটো গানের শুটিং শেষ করেছিলাম।” অভিনেত্রী জানান, মুখের বাঁ দিকটা বেশি ফুলে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার ফলে মহিমার আত্মবিশ্বাস ভেঙে পড়েছিল। তবে কিছু দিন পরেই তিনি শুটিংয়ে ফিরে আসেন। তখনও নিজের চেহারা নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন অজয় দেবগন।
মহিমা জানিয়েছেন, জীবনের এই পর্বে বহু সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। আসল কারণ কাউকে বলেননি। গোপন করে গিয়েছিলেন দুর্ঘটনার কথা।